বাংলায় ঝোড়ো ইনিংসের পর এবার উত্তর-পূর্বের ছোট্ট রাজ্য মেঘালয়াতেও (Meghalaya) দাপট দেখাল তৃণমূল। কংগ্রেস-বিজেপিকে পেছনে ফেলে এক ধাক্কায় উঠে এল দ্বিতীয় স্থানে। পশ্চিমবঙ্গের ছয়টি বিধানসভা (West Bengal By Election 2024) আসনের উপনির্বাচনে এককথায় ঝড় তুলেছে তৃণমূল (TMC)। ছয়টি আসনের সবকটিতেই জয় তুলে নিয়ে রাজ্যে তাদের অপ্রতিদ্বন্দ্বী অবস্থান আরও একবার প্রমাণ করেছে ঘাসফুল শিবির। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, মেঘালয়ের (Meghalaya) মাটিতেও এবার তৃণমূল কংগ্রেস তাদের উপস্থিতি এবং শক্তি প্রদর্শন করল।
বিজেপিকে রুখে ‘হেলিকপ্টার ম্যাডাম’ ঝাড়খণ্ডে বদলে দিল নির্বাচনী সমীকরণ
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মেঘালয়ে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের ফলাফল রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। গামবেগরে বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সাধিয়ারানি এম সাংমা দ্বিতীয় স্থান দখল করে চমক দেখিয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৮,০৮৪ ভোট, যা তাকে তৃতীয় স্থানাধিকারী কংগ্রেস প্রার্থী জিংজাং মারাংয়ের থেকে ৩৮৯ ভোটে এগিয়ে রেখেছে।
বিজয়ী প্রার্থী এনপিপির মেহতাব সাংমার থেকে সাধিয়ারানি সাংমা পিছিয়ে পড়েছেন মাত্র ৪,০০০ ভোটে। এই ব্যবধান উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজনীতিতে তৃণমূলের দ্রুত উত্থানের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।
মেঘালয়ের এই উপনির্বাচনে বিজেপির ফলাফল ছিল লজ্জাজনক। বিজেপি প্রার্থী এতটাই কম ভোট পেয়েছেন যে, তিন অঙ্কের ঘর ছাপিয়ে যেতে পারেননি। তৃণমূল কংগ্রেস এবং কংগ্রেসের লড়াইয়ের সামনে বিজেপি কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে।
উপনির্বাচনে নোটার সঙ্গে ‘লড়াই’! সর্বত্রই জামানত জব্দ বাম-কংগ্রেসের
গামবেগরে কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কংগ্রেস তৃতীয় স্থানেই থেমে গেছে। জিংজাং মারাং ৭,৬৯৫ ভোট পেয়েছেন, যা তৃণমূল প্রার্থী সাধিয়ারানি সাংমার থেকে সামান্য কম। কংগ্রেসের এই পিছিয়ে পড়া তৃণমূলের জন্য বড় সাফল্যের ইঙ্গিত।
পশ্চিমবঙ্গের ছয়টি আসনের উপনির্বাচনে তৃণমূলের একক আধিপত্য লক্ষ করা গেছে। বিজেপি যেখানে একটি আসনও ধরে রাখতে পারেনি, সেখানে তৃণমূল তাদের শক্তি আরও মজবুত করেছে। সিতাই, মাদারিহাট, এবং অন্যান্য কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীরা বিপুল ব্যবধানে জয় লাভ করেছেন।তৃণমূল কংগ্রেস মেঘালয়ে যে রাজনৈতিক কৌশল প্রয়োগ করছে, তা স্পষ্টতই ফল দিচ্ছে।
গোহারা হেরে দলের জব্দ হয়েছে জামানত, তবুও ভাবিত নন শুভেন্দু
স্থানীয় প্রার্থীদের মাধ্যমে তৃণমূল ভোটারদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে।উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিজেপি-বিরোধী রাজনীতিকে ভিত্তি করে তৃণমূল দ্রুত জমি দখল করছে। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি এবং স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী প্রচার তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াচ্ছে।
মেঘালয়ের গামবেগরে বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বিতীয় স্থান দখল এবং কংগ্রেস ও বিজেপির থেকে এগিয়ে থাকা পশ্চিমবঙ্গের বাইরেও তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা বিস্তারের একটি বড় উদাহরণ।