বৃহস্পতির চাঁদে বরফের নীচে থাকা সাগরে ডুব দেবে নাসার তৈরি বিশেষ রোবট

NASA Robots: নাসা তার মহাকাশ অভিযানের জন্য জলের নীচে সাঁতার কাটবে এমন রোবট তৈরি করেছে। এই রোবটগুলো বৃহস্পতি ও শনির চাঁদে গিয়ে বরফের নিচে চাপা পড়ে…

AI Image: A group of robots swim in the dark blue oceans of Jupiter's and Saturn's moons

NASA Robots: নাসা তার মহাকাশ অভিযানের জন্য জলের নীচে সাঁতার কাটবে এমন রোবট তৈরি করেছে। এই রোবটগুলো বৃহস্পতি ও শনির চাঁদে গিয়ে বরফের নিচে চাপা পড়ে থাকা সাগরে ডুব দেবে। এই রোবটগুলি বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপা এবং শনির চাঁদ এনসেলাডাস পরিদর্শন করে জলের নীচে অন্বেষণ করবে। এই কনসেপ্ট রোবটগুলো তৈরি করেছে নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি। এগুলি ভবিষ্যতের রোবট যা মহাকাশে কঠিন পরিবেশেও কাজ করতে পারে।

এই রোবটগুলি পৃথিবীর বাইরে জীবনের সম্ভাবনার জন্য নাসার অনুসন্ধানে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে চলেছে। আসলে নাসা বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপা এবং শনির চাঁদ এনসেলাডাস নিয়ে খুব আগ্রহী। নাসা ইতিমধ্যেই ইউরোপা ক্লিপার মিশন পাঠিয়েছে।

   

NASA Robots

নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি (জেপিএল) এর নাম দিয়েছে সেন্সিং উইথ ইনডিপেনডেন্ট মাইক্রো সুইমার্স (SWIM)। এই 16.5 ইঞ্চি রোবটটি প্রায় 2 কেজি ভারী। এটি পুলে পরীক্ষাও করা হয়েছে। ধারণার পরে যখন প্রকৃত রোবট প্রস্তুত হবে, তখন এটি প্রায় 12 সেন্টিমিটার লম্বা হবে।

এমন অনেক রোবট তৈরির পরিকল্পনা করছে নাসা। এই রোবটগুলো সেখানে সমুদ্রে অবতরণ করবে এবং তদন্ত করবে। তাদের তাপমাত্রা এবং রাসায়নিক গঠন খুঁজে বের করবে। যে চাঁদে নাসা তাদের পাঠাতে যাচ্ছে সেখানে বরফের ঘন চাদর।

কথিত আছে এই বরফের নীচে একটা গোটা সাগর আছে। এই কাজের জন্য এই রোবটগুলি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। জেপিএল তাদের পরীক্ষার ভিডিওও শেয়ার করেছে।

Exploring alien oceans with tiny robots? These prototypes could pave the way for such a reality!

A futuristic mission concept – called SWIM – envisions a swarm of cellphone-size robots that could explore the oceans beneath icy moons’ shells. Learn more: https://t.co/oSqwn6y14J pic.twitter.com/QQyB1aTOEr

— NASA JPL (@NASAJPL) November 20, 2024 “> 

এই রোবটগুলিতে যোগাযোগ এবং জিপিএস সিস্টেমও থাকবে। যার সাহায্যে তারা জলে চলাচল করতে পারবে। তারা সমুদ্রের রাসায়নিক গঠন জানতে পারে সে জন্য বিশেষ সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করা হবে। যাইহোক, কোম্পানি বলছে যে এটি শুধুমাত্র একটি ধারণা এবং একটি প্রোটোটাইপ হিসাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। এগুলো নির্মাণের জন্য অর্থায়নের পাশাপাশি উন্নয়নের অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে। নাসা বিশ্বাস করে যে বাইরের সৌরজগতে ইউরোপা, এনসেলাডাস, টাইটান এবং এরিয়েলের মতো চাঁদে জলের চিহ্ন রয়েছে, যা থেকে বোঝা যায় যে এখানে জীবন সম্ভব।