রাজ্যপাল (Governor) এবং মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) মধ্যে ‘মিষ্টি’ সম্পর্কের (Relationship) নতুন অধ্যায় (Chapter)। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দুই বছরের দায়িত্বকাল পূর্ণ হলো শুক্রবার। এই বিশেষ উপলক্ষে রাজভবন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মিষ্টি ও ফল পাঠানো হয়। সেইসঙ্গে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীসহ রাজ্য সরকারের শীর্ষ নেতাদের রাজভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। পাল্টা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাজ্যপালকে মিষ্টি পাঠিয়ে এই সৌজন্য বিনিময়ের মাধ্যমে সম্পর্কের উত্তরণ ঘটানোর একটি সূচনা করেছেন।
রাজ্যপালের চিঠি ও উপহারের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তার সম্পর্কের নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছে। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, প্রথম বছরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ, কিন্তু দ্বিতীয় বছরে কিছু বিষয়ে মতানৈক্য তৈরি হয়েছে। তবে তৃতীয় বছরে তিনি রাজ্য সরকারের সঙ্গে একসঙ্গে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে চান। এই চিঠি এবং উপহার রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততার অবসান এবং নতুন একটি সূচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে রাজভবনের একটি মহিলা কর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন, এবং বলেন, প্রয়োজনে রাস্তায় সাক্ষাৎ করবেন কিন্তু রাজভবনে না যাবেন। এরপর ১৫ আগস্ট রাজভবনের চায়ের নিমন্ত্রণে চা না খেয়ে ফিরে আসেন তিনি। কিন্তু এখন মিষ্টি পাঠানোর মাধ্যমে এই সম্পর্কের তিক্ততা কাটানোর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে।
এখন, এই মিষ্টির আদান-প্রদানকে কেন্দ্র করে রাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন প্রশ্ন উঠছে, তা হল, এই উদ্যোগ রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ভবিষ্যতে আরও সহযোগিতার দিকে নিয়ে যাবে কি না? বিশেষত, রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলোতে তাঁদের মধ্যে সমন্বয় বাড়বে কিনা, সেটাই দেখার বিষয়। রাজনৈতিক মহলে মনে করা হচ্ছে, রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী যদি একে অপরের সঙ্গে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেন, তবে তা রাজ্যের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এটি একটি নতুন দিকের সূচনা হতে পারে, যেখানে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী নিজেদের রাজনৈতিক মতানৈক্য ভুলে সহযোগিতার দিকে এগিয়ে চলবেন, যা শুধু রাজ্য নয়, বাংলার জনগণের জন্যও মঙ্গলজনক হবে।