মেট্রো বিভ্রাটে দমদম থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ

মেট্রো (Metro) বিভ্রাটের (Disruption) কারণে যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। দমদম থেকে কবি সুভাষ লাইনে মেট্রো পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে শোভাবাজার স্টেশনে…

Metro

মেট্রো (Metro) বিভ্রাটের (Disruption) কারণে যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। দমদম থেকে কবি সুভাষ লাইনে মেট্রো পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে শোভাবাজার স্টেশনে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। স্টেশন কর্তৃপক্ষের তরফে বোর্ডে পরিষেবা বন্ধের ঘোষণা করা হয় এবং যাত্রীদের স্টেশন থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়। বিশেষ করে যারা অফিস, স্কুল, বা কলেজে যাওয়ার জন্য মেট্রো ব্যবহার করেন, তাদের জন্য এই পরিস্থিতি অত্যন্ত অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যাত্রীদের অভিযোগ, সকাল বেলা নির্দিষ্ট সময়ে মেট্রো ট্রেনের অপেক্ষায় থাকার পর যখন তাদের জানানো হয় যে ট্রেন চলাচল বন্ধ, তখন তাদের অনেকেই বিকল্প যাতায়াত ব্যবস্থা খুঁজতে বাধ্য হন। শোভাবাজারে থমকে দাঁড়িয়ে যাওয়া ট্রেনের মধ্যে এবং স্টেশনে ঘোষণার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয় যে আপাতত পরিষেবা বন্ধ। এর ফলে যাত্রীরা হঠাৎ করেই বিপদের সম্মুখীন হন এবং তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য বাস, ট্যাক্সি বা অন্য কোনও বিকল্প পরিবহণের ব্যবস্থা করতে হয়।

   

শুক্রবারেও মেট্রো পরিষেবায় দেরি হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। মেট্রো স্টেশনগুলোতে যাত্রীরা জানিয়েছেন, প্রতিটি স্টেশনে মেট্রো দেরি করে ঢুকছিল এবং কখনও কখনও নির্ধারিত সময়ে ট্রেনও আসেনি। কিন্তু, আজকের ঘটনা আরও বড় আকার ধারণ করেছে। যাত্রীরা জানাচ্ছেন যে তাঁদের জন্য এটি খুবই সমস্যা সৃষ্টিকারী পরিস্থিতি ছিল। অনেক যাত্রী সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য মেট্রোকে একমাত্র ভরসা হিসেবে ব্যবহার করেন। মেট্রোর পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে তারা তাঁদের পরিকল্পনায় ব্যাঘাত অনুভব করেছেন।

এখনও পর্যন্ত মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে বিভ্রাটের সঠিক কারণ জানানো হয়নি। ফলে যাত্রীদের মধ্যে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা জানাতে চাচ্ছেন যে কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পরিষেবা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করতে হবে। বেশ কিছু যাত্রী মনে করছেন যে মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পরিষেবা বন্ধের কারণ এবং সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপের সমাধান পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রকাশ করা উচিত।

মেট্রো একদিকে যেখানে শহরের জনজীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে, অন্যদিকে এই ধরনের বিভ্রাটের কারণে যাত্রীদের জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটছে। যাত্রীদের অভিযোগ, সরকারের উচিত মেট্রোর অপারেশনকে আরও উন্নত এবং নির্ভরযোগ্য করা, যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের পরিস্থিতি এড়ানো যায়।