ঝাড়খণ্ডে হেমন্তের ধাক্কায় বিচূর্ণ বিজেপি, ধোপে টিকল না ‘অনুপ্রবেশ’ ইস্যু

ঝাড়খণ্ডে বড় ধাক্কা বিজেপির (BJP)। হেমন্তের হাত ধরেই ফের ক্ষমতায় আসছে ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চা (JMM)।  ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে (Jharkhand Election 2024) ইন্ডিয়া জোট (INDIA)—ঝাড়খণ্ড মুক্তি…

harkhand Elections Results 2024: INDIA Set For Big Win Over NDA In Jharkhand,

ঝাড়খণ্ডে বড় ধাক্কা বিজেপির (BJP)। হেমন্তের হাত ধরেই ফের ক্ষমতায় আসছে ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চা (JMM)।  ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে (Jharkhand Election 2024) ইন্ডিয়া জোট (INDIA)—ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম), কংগ্রেস এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)—সংখ্যাগরিষ্ঠতার লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছেছে। ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর প্রাথমিক পর্যায়ে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও, ধীরে ধীরে এগিয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren)   নেতৃত্বাধীন জেএমএমের জোট নিজেদের শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করেছে।  

বাবার রেকর্ড ভেঙে হাড়োয়ায় জয়ী তৃণমূল প্রার্থী শেখ রবিউল ইসলাম

   

আজ সকাল ৮টায় ভোট গণনা শুরু হওয়ার পরপরই বিজেপি সামনের দিকে ছিল। তবে সকাল ১০টা ৩০ মিনিট নাগাদ ইন্ডিয়া জোট রাজ্যের ৮১টি আসনের মধ্যে ৫১টিতে এগিয়ে গিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সীমা পার করে। অন্যদিকে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ২৯টি আসনে এগিয়ে ছিল।

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন নির্বাচনের আগেই আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছিলেন যে তার দল পুনরায় সরকার গঠন করবে। জেএমএমের এই আত্মবিশ্বাস যে নির্ভুল ছিল, তা ফলাফলে স্পষ্ট হয়েছে। ইন্ডিয়া জোটের সাফল্যের পেছনে দলগুলির মধ্যে সুসংহত প্রচেষ্টা, স্থানীয় ইস্যুগুলিতে মনোযোগ এবং হেমন্ত সোরেনের জনপ্রিয় নেতৃত্ব মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে।

বিজেপি প্রাথমিকভাবে এগিয়ে থাকলেও ধীরে ধীরে তাদের অবস্থান দুর্বল হতে শুরু করে। ঝাড়খণ্ডের গ্রামীণ ও আদিবাসী ভোটারদের মন জয় করতে ব্যর্থ হওয়া এবং স্থানীয় ইস্যুগুলিকে গুরুত্ব না দেওয়া বিজেপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে, সংবেদনশীল আদিবাসী জমির অধিকার এবং গ্রামীণ উন্নয়ন ইস্যুতে সঠিক কৌশল না থাকায় বিজেপি অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। 

IPL Mega Auction : ইতিহাস গড়ে আইপিএলে নিলাম পরিচালনার দায়িত্বে এই মহিলা কে ?

সকাল ১১টা নাগাদ বিভিন্ন মিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ইন্ডিয়া জোট ৫১টি আসনে এগিয়ে ছিল, যেখানে এনডিএ ২৯টি আসনে সীমাবদ্ধ। এই ফলাফল জোটের জন্য বড় বিজয়ের বার্তা বহন করছে। ঝাড়খণ্ডের ৮১টি বিধানসভা আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য ৪১টি আসন প্রয়োজন। ইন্ডিয়া জোট এরই মধ্যে সেই সীমা ছাড়িয়ে গেছে, যা তাদের এককভাবে ক্ষমতায় ফেরার পথ সুগম করেছে।

ঝাড়খণ্ডের জনগণ এবার তাদের ভোটের মাধ্যমে স্থানীয় ইস্যু ও উন্নয়নের প্রতি জোর দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন তার প্রচারে বারবার রাজ্যের আদিবাসী, কৃষক এবং প্রান্তিক শ্রেণির মানুষের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিজেপি যেখানে জাতীয়তাবাদ এবং বড় মাপের প্রচারাভিযান চালিয়েছিল, সোরেন সেখানে স্থির থেকেছেন স্থানীয় ইস্যুতে। এই কৌশলই তার জোটকে এগিয়ে নিয়ে গেছে।

ইন্ডিয়া জোটের এই সাফল্য জাতীয় রাজনীতিতেও একটি বার্তা দিচ্ছে। বিরোধী দলগুলির মধ্যে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা যে শক্তিশালী ফলাফল আনতে পারে, তা ঝাড়খণ্ড নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে। বিশেষ করে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ফলাফল বিরোধী শিবিরের আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে দেবে।

বুমরাহ ছুঁয়ে ফেলল কপিল দেবের পাঁচ উইকেট রেকর্ড

মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ঝাড়খণ্ডে তার নেতৃত্ব এবং প্রশাসনিক দক্ষতা দিয়ে প্রমাণ করেছেন যে তিনি জনমানসে কতটা গ্রহণযোগ্য। তার সরকার গ্রামীণ উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার উপর যে জোর দিয়েছিল, তা ভোটারদের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সোরেন বলেন, “এই জয় ঝাড়খণ্ডের মানুষের জয়। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করব এবং রাজ্যের উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাব।”

সরকার গঠন করলেও ইন্ডিয়া জোটের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ থাকবে। রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের চাহিদা পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে রাজ্যের স্বার্থ রক্ষা করা বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।