মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যে আলু রপ্তানি (Potato export) আপাতত বন্ধ করা হয়েছে। এর ফলে দাম নিয়ন্ত্রণের দিকে কিছুটা এগোতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সম্প্রতি রাজ্যের বাজারে আলুর দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছিল। অভিযোগ ওঠে যে, কিছু পুলিশ সদস্যের সহায়তায় বেআইনি আলু রপ্তানি চলছিল ভিনরাজ্যে, যা রাজ্যে দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে মুখ্যমন্ত্রী খোদ হস্তক্ষেপ করে বাজারে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টাস্ক ফোর্স গঠন করেন।
শুক্রবার নবান্নে জরুরি বৈঠক শেষে টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, আলু রপ্তানি বন্ধ রাখা হবে এবং রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টাস্ক ফোর্স জানিয়েছে, বাজারে অভিযান চালানো হবে, যাতে আলু পরিবহন এবং বিক্রিতে কোনও অসঙ্গতি না ঘটে।
এদিকে, আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আসার জন্য ব্যবসায়ী নেতাদেরও দায়ী করা হয়েছে। তাদের দাবি, ব্যবসায়ী সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আলু কেজি প্রতি ২৬ টাকা বিক্রি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বর্তমানে তা ২৮ টাকা হয়ে গেছে। বাজারে আলু আসতে আসতে দাম ৩৫-৪০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে বহন করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
মুখ্যমন্ত্রী পিঁয়াজের দাম নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “নাসিক থেকে এখনও পিঁয়াজ কেন আমদানি করতে হচ্ছে?” এই পরিস্থিতিতে টাস্ক ফোর্স আশ্বস্ত করেছে যে, পিঁয়াজের সরবরাহ বাড়ছে এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তার দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।
এছাড়াও, রাজ্যের বাজারে অন্যান্য সবজির দাম নিয়ে টাস্ক ফোর্স আশাবাদী। তারা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ সবজির দাম এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং আগামীতে আরও নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হবে। তবে, আলু নিয়ে এখনও কিছুটা উদ্বেগ রয়ে গেছে।
মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা যাতে নিয়মিতভাবে বাজার পরিদর্শন করে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখেন এবং বাজারে বেআইনি রপ্তানি, ব্যবসায়িক কারসাজি রোধ করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।