“কেষ্টদা ফিরতেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে”, বেফাঁস শতাব্দী

বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে তাঁর ঘরে ফেরার (Return) পর দলের মধ্যে কিছু মতানৈক্য (Controversy) দেখা দিয়েছে। অনুব্রত…

Anubrata Mondal Controversy

short-samachar

বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে তাঁর ঘরে ফেরার (Return) পর দলের মধ্যে কিছু মতানৈক্য (Controversy) দেখা দিয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের ফিরতে তার সমর্থকরা চাঙা হয়ে উঠলেও, দলের অভ্যন্তরে বিভক্তি ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের গুঞ্জন বাড়তে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে, তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী (Shatabdi) রায় সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বেফাঁস মন্তব্য করেন, যা দলের মধ্যে আরও বিতর্কের সৃষ্টি করে।

   

শুক্রবার সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের শক্তিপুরে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শতাব্দী রায় বলেন, “চন্দ্রনাথ দা আর কেষ্টদার দুটো গোষ্ঠী আছে? আমার জানা নেই। আমি জানি, ওনারা মিলেমিশেই কাজ করেন।” এরপর তিনি মন্তব্য করেন, “তবে কেষ্টদা ফিরতে তাঁর সমর্থকরা কেউ অতি উৎসাহী হয়ে উঠেছে। অনেকে আবার বিশেষ খুশি নন। ফলে সব মিলিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে কোথাও কোথাও।”

এই মন্তব্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠলেও, শতাব্দী রায় তার পরবর্তী সময়ে জানান, তিনি কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা বলতে চাননি। তিনি আরও বলেন, “এটা দলের বিষয়, এবং দলের সকলেই একসাথে কাজ করতে চান।” তবে, তাঁর প্রথম মন্তব্য দলের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার ইঙ্গিত দেয়, যা দলের নেতাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে।

তৃণমূলের অন্দরে অনুব্রত মণ্ডলের অবর্তমানে কাজল শেখের প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছিল। অনুব্রত ফেরার পর, দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্বের আলোচনা শুরু হয়। তবে কোর কমিটির বৈঠকে অনুব্রত ও কাজল শেখ একসাথে উপস্থিত ছিলেন, যা দলের ঐক্যের সংকেত দেয়। কিন্তু শতাব্দী রায়ের মন্তব্য থেকে পরিষ্কার, দলের মধ্যে কিছুটা অস্থিরতা ও বিভক্তি চলছে।

এছাড়া, দলের বিভক্তির পেছনে একজনের প্রভাব এবং অভ্যন্তরীণ সমীকরণ মেনে চলার মধ্যে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় দলের ঐক্য বজায় রাখার চেষ্টা চলছে, তবুও একাধিক নেতা-নেত্রীর মধ্যে মতভেদ ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অস্বীকার করার সুযোগ নেই। বিশেষ করে, দলের মধ্যে এই ধরনের বিতর্কের উত্থান, দলের ভিতরে বিভেদ এবং শীর্ষ নেতৃত্বের সামনে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।

এখন দেখা যাক, রাজ্যে নেতৃত্বের এই বিভক্তি কি দলের ঐক্যকে প্রভাবিত করবে, আর দলের মধ্যে এমন অস্থিরতা সামলে নিয়ে দলের কর্মসূচি কার্যকর করা সম্ভব হবে কিনা। দলের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে আরো আলোচনা ও বিশ্লেষণের অপেক্ষা রয়ে গেছে।