নতুন বছরের আগেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বিরাট ঘোষণা মমতার

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার রাজ্যের সামাজিক নিরাপত্তা সেবা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন। তার মধ্যে অন্যতম হল, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmi Bhandar) স্কিমে আরও…

Another Five Lakh Women to Come Under Lakshmir Bhandar Scheme, Big Announcement by Shashi in the Legislative Assembly

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার রাজ্যের সামাজিক নিরাপত্তা সেবা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন। তার মধ্যে অন্যতম হল, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmi Bhandar) স্কিমে আরও ৫ লাখ মহিলাকে (Lakshmi Bhandar) অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

এছাড়া, ৪৩,৯০০ বৃদ্ধা বিধবাদের জন্য বয়সভিত্তিক পেনশন স্কিমের (Lakshmi Bhandar) আওতায় নিয়ে আসা হবে এবং ১৯,০০০ আরও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি মাসিক সুবিধা স্কিমের (Lakshmi Bhandar) আওতায় আসবেন।

   

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যে বর্তমানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmi Bhandar) স্কিমে ২.২ কোটির বেশি মহিলা উপকৃত হচ্ছেন। তবে এবার এই স্কিমের আওতায় আরও ৫ লাখ মহিলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যা রাজ্যের আর্থিক অবস্থার উন্নতি সাধন করবে এবং মহিলাদের আর্থিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে।”

তিনি আরও জানান, রাজ্য সরকারের ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে চালু হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৬ লাখ মাটির বাড়ি পাকা বাড়িতে পরিণত হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলার বাড়ি প্রকল্পের আওতায় ১২ লাখ গৃহহীনকে প্রথম কিস্তি হিসেবে ৬০,০০০ টাকা প্রদান করা হবে, যা আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে এবং জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবে।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের উপর চোট করে বলেন, “কেন্দ্র বিভিন্ন অস্থায়ী প্রকল্প চালু করে, যেমন ‘অগ্নিবীর’, যা জনগণকে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে। আমি স্থায়ী প্রকল্পের কথা ভাবি।” এর পাশাপাশি, তিনি কেন্দ্রের ওপর আরো অভিযোগ করেন, “কেন্দ্রীয় সরকার যেকোনো প্রকল্পের নাম নেওয়ার সময় তাদের নাম তুলে দেয়, অথচ সেই প্রকল্পে কেন্দ্রের কোন প্রকার আর্থিক সহায়তা থাকে না।”

মুখ্যমন্ত্রী জানান, কৃষকদের জন্য রাজ্য সরকারের কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় ২০২৪-২৫ রবি ফসলের জন্য এক কোটি কৃষককে ২,৯৪৩ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করা হবে। এর মাধ্যমে কৃষকদের আর্থিক সুরক্ষা ও উন্নয়ন হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

এছাড়া, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার স্কিমের জন্য ইতিমধ্যেই ৪৮,৪৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা নতুন সুবিধাভোগীদের অন্তর্ভুক্তির পর প্রায় ৫৪,০০০ কোটি টাকা হবে। এই সব উদ্যোগ রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে, তা স্পষ্ট করেন মমতা।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “যদিও অনেকেই আমাকে বলেন, আমি মরে যাওয়ার পরে যদি একটা প্রতিকৃতি লাগাই, তবে আমি সেটা চাই না। আমি মনে করি, রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলো মানুষের কাছে পৌছানোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি বলেন, “আমার কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই। আমি মানুষের জন্য কাজ করি।”

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক উদ্যোগের ঘোষণা রাজ্যে সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী করবে, যা হাজার হাজার মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনবে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের জনগণের কল্যাণে কাজ করার দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।