কর্মীদের প্রতি উদারতার এক অসাধারণ নজির স্থাপন করল চেন্নাই-ভিত্তিক রিয়েল এস্টেট সংস্থা কাসাগ্র্যান্ড। সংস্থাটি তাদের ১,০০০ কর্মীর (Employee) জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এক সপ্তাহের স্পেনের বার্সেলোনা ভ্রমণের ব্যবস্থা করেছে। সংস্থার “লাভ-ভাগাভাগি বোনাস” প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এই ভ্রমণ কর্মীদের তাদের কঠোর পরিশ্রম এবং সংস্থার লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
কাসাগ্র্যান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “এই প্রোগ্রাম আমাদের কর্মীদের নিষ্ঠা, প্রতিশ্রুতি এবং দলগত চেতনাকে স্বীকৃতি জানাতে আয়োজন করা হয়েছে। গত অর্থবর্ষে সংস্থার লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এমন কর্মীদের আমরা সম্মান জানাতে চাই।”
সব স্তরের কর্মীদের জন্য বিশেষ উপহার
এই ভ্রমণে অংশগ্রহণকারী কর্মীরা বিভিন্ন পদ এবং বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। সিনিয়র নেতৃত্ব থেকে শুরু করে প্রবেশ পর্যায়ের কর্মী পর্যন্ত সবাই এই পুরস্কারের অংশীদার। কর্মীদের প্রচেষ্টা এবং সংস্থার বিক্রয় লক্ষ্য পূরণে ভূমিকার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
স্পেন ভ্রমণে বার্সেলোনার সেরা স্থানগুলির ঘোরার সুযোগ
বার্সেলোনার আইকনিক স্থানগুলি যেমন সাগরাদা ফ্যামিলিয়া, পার্ক গুয়েল, এবং মন্টজুইক ক্যাসেলের মতো জায়গাগুলি ভ্রমণের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া কর্মীরা উপভোগ করতে পারবেন বার্সেলোনার বিখ্যাত সমুদ্র সৈকত এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও বিনোদনমূলক কার্যক্রম।
কাসাগ্র্যান্ড জানিয়েছে, “ভারত এবং দুবাইয়ের বিভিন্ন অফিস থেকে কর্মীদের একত্রিত করে স্পেনের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি ভ্রমণ পরিকল্পনা কর্মীদের জন্য একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা তৈরি করতে মনোযোগ দিয়ে সাজানো হয়েছে।”
২০১৩ সাল থেকে কাসাগ্র্যান্ডের বৈশ্বিক পুরস্কার কর্মসূচি
কাসাগ্র্যান্ডের বৈশ্বিক পুরস্কার কর্মসূচি ২০১৩ সাল থেকে চলে আসছে। সংস্থাটি এর আগে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, দুবাই, মালয়েশিয়া এবং লন্ডন-সহ একাধিক আন্তর্জাতিক গন্তব্যে কর্মীদের নিয়ে গেছে। এমনকি কোভিড মহামারীর সময়ও এই উদ্যোগ বন্ধ হয়নি।
২০২১ সালে কর্মীরা ঘুরে দেখেছিলেন দুবাই এবং আবুধাবি, ২০২২ সালে তারা ভ্রমণ করেন সুইজারল্যান্ড, এবং ২০২৩ সালে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া।
কর্মীদের জন্য এক দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগ
কাসাগ্র্যান্ডের এই উদ্যোগ কর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা ও অনুপ্রেরণা যোগাবে। এটি দেখায়, সংস্থাটি শুধু আর্থিক লাভের প্রতি মনোযোগী নয়, কর্মীদের মূল্যায়ন ও তাঁদের সুখী রাখতেও সচেষ্ট। সংস্থার এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে অন্যান্য সংস্থাগুলির জন্য একটি দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ। “কর্মী সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার মাধ্যমে সংস্থা আরও সফল হওয়ার পথে এগিয়ে যেতে পারে,” বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।