মথুরার শ্রী কৃষ্ণ (Krishna) জন্মভূমি (Janmabhoomi) ও শাহী ইদগাহ মসজিদ সম্পর্কিত বিতর্কে এলাহাবাদ (Allahabad) হাইকোর্টের (High Court) বড় সিদ্ধান্ত সামনে এসেছে। আদালত হিন্দু পক্ষের শুনানির দাবি নাকচ করে দিয়েছে এবং তাদের আবেদন খারিজ করেছে। এ সিদ্ধান্তটি মথুরার শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির এবং শাহী ইদগাহ মসজিদ নিয়ে চলমান মামলা সংক্রান্ত, যেখানে হিন্দু পক্ষ মসজিদটি ভেঙে মন্দির পুনঃনির্মাণের দাবি করছে।
আজ, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে এলাহাবাদ হাইকোর্টে শুনানির সময়, মামলার পক্ষ আশুতোষ পান্ডে হিন্দু পক্ষের পক্ষে আবেদন করেছিলেন, যাতে এই বিরোধ সংক্রান্ত মামলাগুলোর প্রতি দিন ভিত্তিতে শুনানি করা হয়। তারা দাবি করেছিলেন যে, বিষয়টি জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং এর সঙ্গে কোটি কোটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতি জড়িত। তাই, দ্রুত সমাধানের জন্য প্রতিদিন শুনানি হওয়া উচিত। তবে, আদালত এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্ত হিন্দু পক্ষের জন্য বড় ধাক্কা। পিটিশন দাখিলকারী পক্ষ, আশুতোষ পান্ডে, আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই মামলার বিষয়ে আরও আলোচনার সুযোগ প্রয়োজন এবং আদালতকে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময় দিতে হবে।
এছাড়াও, এলাহাবাদ হাইকোর্ট ১৭ নম্বর মামলায় গণবিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দিয়েছে এবং শাহী ইদগাহ মসজিদকে তিন নম্বর মামলায় পক্ষ করার আবেদন গ্রহণ করেছে। হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের পর মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ নভেম্বর দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। আদালতের একক বেঞ্চ, বিচারপতি রাম মনোহর নারায়ণ মিশ্রের নেতৃত্বে এই মামলার শুনানি চলছে।
এলাহাবাদ হাইকোর্ট একযোগে মথুরা বিরোধ সংক্রান্ত মোট ১৮টি পিটিশনের শুনানি করছে। আদালত ইতিমধ্যে মুসলিম পক্ষের কিছু দাবী নাকচ করেছে। এসব মামলার নিষ্পত্তি হলে এটি আরও বৃহত্তর ধর্মীয় এবং সামাজিক প্রভাব ফেলবে। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, অযোধ্যা বিতর্কের আদলে এই মামলা নিয়েও দীর্ঘ আইনি লড়াই হতে পারে।
এখন আদালতের সিদ্ধান্তের পর এই মামলা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মথুরা বিরোধের মতো এসব মামলার শিরোনাম নিয়ে দেশের নানা প্রান্তে সমালোচনা ও আলোচনা চলছে, এবং জনগণের মধ্যে নানা রকমের প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অঙ্গনে আরও জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।