উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) আটটি জেলায় বায়ু দূষণের কারণে জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে (এনসিআর) যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে সরকারি নির্দেশে বন্ধ (Closed) সমস্ত স্কুল (School)। প্রতিটি স্কুলে অনলাইন ক্লাস (Online Classes) চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মীরাট বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা জানান, বায়ু দূষণের মাত্রা বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছানোর কারণে মীরাট বিভাগের ছয়টি জেলা, গাজিয়াবাদ, গৌতম বুদ্ধ নগর, বুলন্দশহর, বাগপত, হাপুর, মুজাফফরনগর এবং শামলি জেলায় সকল শারীরিক ক্লাস স্থগিত রাখা হয়েছে এবং তা অনলাইনে পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এনসিআর অঞ্চলের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের আটটি জেলা, দিল্লি, হরিয়ানার ১৪টি জেলা এবং রাজস্থানের দুটি জেলা রয়েছে। এই অঞ্চলটি প্রায় ১৪,৮২৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। মীরাট বিভাগের কমিশনার সেলভা কুমারী জে জানান, বায়ু দূষণের ক্রমবর্ধমান মাত্রার কারণে প্রশাসন অনলাইনে ক্লাস পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এটি বহাল থাকবে। এর পাশাপাশি, গ্র্যাপ (গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান) নির্দেশিকা অনুসরণ করার জন্য স্কুলগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে।
মীরাট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপক মীনা মঙ্গলবার এক বৈঠকে বলেছেন, গ্র্যাপের চতুর্থ পর্যায়ের (Phase-4) নির্দেশনা অনুসারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে নির্মাণ ও ভাঙার কাজ নিষিদ্ধ করা, ধুলা দূষণ রোধে নিয়মিত পানি ছিটানো এবং ময়লা-আবর্জনা পোড়ানো বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ। তিনি জানান, দোষীদের বিরুদ্ধে জরিমানা এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া, যানবাহন দূষণ রোধে জেলা প্রশাসন বিশেষ নজর রাখবে। নিয়মিত যানবাহন পরীক্ষা করে নিশ্চিত করতে হবে যে, কোন যানবাহন বৈধ পিইউসি (পলিউশন আন্ডার কন্ট্রোল) সনদ ছাড়া চলাচল করছে না। কোনো গাড়ি যদি বৈধ পিইউসি শংসাপত্র ছাড়া চলাচল করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা করা হবে। মীনা আরও বলেন, এনসিআর অঞ্চলে খড় পোড়ানোর অভিযোগে কৃষকদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাগপত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জিতেন্দ্র প্রতাপ সিংও বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে গ্র্যাপ ফেজ-ফোরের নির্দেশিকা মেনে চলার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জেলায় ধুলা দূষণ রোধে ব্যবস্থা নিতে এবং যানবাহন দূষণ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সকল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়া, পরিবেশ সচেতনতা বাড়ানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসন বাসিন্দাদেরকে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার এবং পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।