দিল্লি মেট্রোর (Delhi Metro) চতুর্থ ধাপের অধীনে ম্যাজেন্টা লাইন সম্প্রসারিত করা হয়েছে এবং এর ট্রায়াল রান (Trial Run) শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় 186 কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রুটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ চালু করা হচ্ছে, যা দ্রুতগতিতে মেট্রো পরিষেবার উন্নয়ন ঘটাবে। মুখ্যমন্ত্রী অতীশি শনিবার ১৯ নভেম্বর মুকুন্দপুরে দিল্লি মেট্রো ডিপো পরিদর্শন করেন এবং প্রকল্পটির অগ্রগতি নিয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে, চতুর্থ পর্বের প্রথম ট্রেনটি এখন মাটিতে এসে পৌঁছেছে।’’
অতীশি আরও বলেন, ‘‘গত ১০ বছরে যেভাবে দিল্লি মেট্রো সম্প্রসারিত হয়েছে, তা খুবই দ্রুত এবং সাফল্যমণ্ডিত। এটি এখন প্রতিটি কোণায় পৌঁছে গেছে, এমনকি এনসিআর এলাকাতেও।’’ তিনি মেট্রোর উন্নয়নের সঙ্গে দিল্লির সামগ্রিক উন্নয়নের তুলনা করেন এবং জানান, ‘‘যেভাবে মেট্রো সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি দিল্লির উন্নয়নও একই গতিতে এগিয়ে চলেছে।’’
নতুন এই মেট্রো লাইনটি ছয়টি কোচের একটি চালকবিহীন ট্রেন চলাচলের সুবিধা দেবে। বর্তমানে এই ট্রেনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত শক্তিশালী। অতীশি জানান, ‘‘এটি দেশের একমাত্র মেট্রো যেখানে চালকবিহীন ট্রেন চালানো হচ্ছে, এবং এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত উচ্চমানের।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এটি একটি অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী প্রকল্প, যা দিল্লির ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্কে বিপ্লব ঘটাবে।’’
বায়ু দূষণ নিয়ে অতীশি বলেন, ‘‘দিল্লি সরকার গ্রুপ ফোরের আগে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে তাদের বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু অন্যান্য এনসিআর রাজ্যগুলিতে গ্রেপ প্রয়োগ করা হচ্ছে না। ডিজেল বাস চলছে, নির্মাণ কাজ চলছে, ধুলাবালি সংক্রান্ত কার্যক্রম চলছে, যা দূষণের মূল কারণ।’’ তিনি আরো জানান, ‘‘এই দূষণ দূরীকরণে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপের প্রয়োজন।’’ বিশেষ করে খড় পোড়ানোর সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগ না নিলে, উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্য যেমন পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, ইউপি, মধ্যপ্রদেশ এবং পাটনা অঞ্চলে কুয়াশা কাটানো সম্ভব হবে না।
অতীশি জানান, ‘‘নতুন মেট্রো লাইনের মাধ্যমে একদিকে যেমন পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে, তেমনি অপর দিকে দূষণের সমস্যা মোকাবিলায় আমাদের কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।’’