Manipur Violence: জনতার ভয়ে মু়খ্যমন্ত্রী লুকিয়ে, বাঙালি অধ্যুষিত জিরিবামের বিজেপি দফতর পুড়ল

Manipur Violence: মুখ্যমন্ত্রী বেপাত্তা। জনতার ভয়ে তিনি গোপন স্থানে আছেন বলেই মণিপুরের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট। গণবিক্ষোভে জ্বলতে থাকা মণিপুরে (Manipur) রাজনৈতিক সংকট বাড়ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী…

Manipur Violence drone bombs

short-samachar

Manipur Violence: মুখ্যমন্ত্রী বেপাত্তা। জনতার ভয়ে তিনি গোপন স্থানে আছেন বলেই মণিপুরের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট। গণবিক্ষোভে জ্বলতে থাকা মণিপুরে (Manipur) রাজনৈতিক সংকট বাড়ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উদ্বিগ্ন। তিনি সোমবারও গোয়েন্দা ও সামরিক কর্মীদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করবেন। জানা যাচ্ছে, আপাতত মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংকে গোপনে রাখা হবে। প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফর শেষে ফেরার পর আরো একদফা আলোচনার পর মণিপুরে সরকার বাঁচানোর জন্য বিক্ষুব্ধ দলীয় তথা বিজেপি বিধায়ক ও সরকারের শরিকদের সঙ্গে বৈঠক হবে। তবে শরিকরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ।

   

জাতি সংঘর্ষের রেশ ধরে মণিপুর অগ্নিগর্ভ। রাজ্যের রবিবার বাংলাভাষী অ়ধ্যুষিত জিরিবাম জেলায় পুলিশের সামনেই বিজেপি দফতরে আগুন ধরান উত্তেজিত জনতা। হামলাকারীরা পুড়িয়ে দেন মোদী, শাহ ও বীরেন সিংয়ের ছবি। জানা যাচ্ছে জিরিবামের বিজেপি নেতারা প্রাণ বা়ঁচাতে পড়শি রাজ্য অসমে চলে গেছেন।

মণিপুরের বাঙালিরা ক্ষুব্ধ:
জাতি সংঘর্ষের রেশ ধরে রাজ্যের দুই প্রধান জনগোষ্ঠী মেইতেই ও কুকি দুতরফের সমর্থন হারিয়েছে বিজেপি সরকার। গত ১১ অক্টোবর বাংলাভাষী অধ্যুষিত জিরিবাম জেলায় ১১ জন জঙ্গিকে খতম করার দাবি করা হয়। নিহতরা কুকি গোষ্ঠীর। দাবি উড়িয়ে কুকি সংগঠনের দাবি, ভুয়ো সংঘর্ষে ওই যুবকদের খুন করা হয়েছে। ওই দিনই জিরিবাম থেকে তিন শিশু ও তিন মহিলাকে অপহরণের ঘটনা ঘটে। এদের খুন করা হয়। দেহ মিলেছে অসমের কাছাড় জেলার লাগোয়া অংশে জিরি নদীতে। এরা সবাই মেইতেই গোষ্ঠীর। ফলে এই গোষ্ঠীর ক্ষোভ তুঙ্গে। রক্তাক্ত জাতি সংঘর্ষের জেরে গত দু বছর ধরে মণিপুরের বিজেপি সরকার অসহায়। এ রাজ্যে শত শত নিহত। হাজার হাজার ঘরছাড়া।

অসমেও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে:
মণিপুরের জিরিবাম জেলার লাগোয়া অসমের বাংলাভাষী অঞ্চল কাছাড় জেলা। পড়শি রাজ্যের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন কাছাড় জেলা প্রশাসন। কারণ, মণিপুরের দিক থেকে আন্ত:রাজ্য সীমানায় জিরি নদীর জিরিঘাট সেতু পার আতঙ্কিত মণিপুরী বাংলাভাষীরা অসমে ঢুকছেন। অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা উত্তরপূর্বাঞ্চলের বিজেপির শীর্ষ নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা মণিপুরের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন। হিমন্তর উপর বিশেষ ভরসা রাখেন মোদী ও শাহ।

শরিকি ক্ষোভ:
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং বিজেপির অপর শীর্ষ নেতা। তবে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ক্রমশ তলানিতে। খোদ সরকারপক্ষের বিজেপি বিধায়করা পদত্যাগের হুমকি দিচ্ছেন। কেন্দ্রে মোদী সরকারের শরিক এনপিপি। দলটির নেতা কনরাড সাংমা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে চিঠি লিখে মণিপুরের সরকার থেকে নিজের দলের সমর্থন প্রত্যাহার করেছেন।

কংগ্রেসের কটাক্ষ:
মণিপুরে বিরোধী দল কংগ্রেস।প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইবোবি সিংয়ের হুঁশিয়ারি, যদি প্রধানমন্ত্রী মোদী মণিপুর নিয়ে নীরব থাকেন তবে বিধানসভা থেকে কংগ্রেস বিধায়করাও পদত্যাগ করবেন। তিনি রাজ্যে সরকার ভেঙে দ্রুত নির্বাচনের দাবি করেন।  লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর দাবি, মণিপুরের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে সে রাজ্যে যান প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেসের কটাক্ষ, মণিপুরে শান্তি ফিরছে দাবি করেছিলেন মোদী।