প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ তিন-দেশ সফরে রয়েছেন, যার মূল লক্ষ্য ব্রাজিলে (Brazil) অনুষ্ঠিত G20 সামিটে অংশগ্রহণ। এই সফর ভারতের আন্তর্জাতিক কূটনীতি শক্তিশালী করার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশগুলির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। মোদির সফরের প্রথম গন্তব্য নাইজেরিয়া, তারপর ব্রাজিল ও গুয়ামে পরবর্তী সফরের সূচনা হবে।
দিল্লি যেন হিটলারের ‘গ্যাস চেম্বার’, শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি এড়াতে বদলালো অফিসের সময়
প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরের প্রথম গন্তব্য নাইজেরিয়া। আফ্রিকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে নাইজেরিয়া ভারতের সঙ্গে গভীর কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। মোদির এই সফরটি অর্থনৈতিক সহযোগিতা, সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম এবং শক্তির খাতে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নিয়ে চলছে। ভারতের বাজারে নাইজেরিয়ার পণ্যসমূহের চাহিদা বৃদ্ধি এবং নাইজেরিয়াতে ভারতীয় বিনিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধি করা মোদির সফরের অন্যতম লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রীর সফরের দ্বিতীয় গন্তব্য ব্রাজিল, যেখানে তিনি G20 সামিটে অংশগ্রহণ করবেন। G20 সামিট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বছরের G20 সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে মোদি বিশ্বের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে বৈশ্বিক অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য নির্মূল এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য কার্যকর নীতির প্রতি জোর দেবেন। এছাড়া, ভারতের নেতৃত্বে বৈশ্বিক সুরক্ষা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হবে।
হাসিনা ভাল কাজ করেছেন, ইউনিসের মৌলবাদী বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বিগ্ন ট্রাম্প-শিবির
ব্রাজিলের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মোদি ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুলা ডি সিলভার সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, কৃষি, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি, ও পরিবেশগত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবেন।
মোদির সফরের শেষ গন্তব্য গুয়াম, যেখানে তিনি ভারতীয় অভিবাসী সম্প্রদায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ভারতের বাইরে বসবাসরত ভারতীয় নাগরিকদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সফর। মোদি গুয়ামে বসবাসরত ভারতীয়দের কল্যাণ ও তাদের সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করবেন।
গুয়ামের সঙ্গে ভারতের সামরিক সম্পর্কও রয়েছে, কারণ এটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন সামরিক ঘাঁটির একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা এবং সামরিক সহযোগিতা প্রসারে গুয়ামের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার উদ্যোগ নেবেন।
ঝাড়খণ্ডে শুক্রবার করে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিস্ফোরক হিমন্ত বিশ্ব শর্মা
প্রধানমন্ত্রী মোদি সফরের মধ্যে বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন, যেগুলি ভারতের কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৈশ্বিক নেতৃত্বের সঙ্গে সমঝোতা ও বিভিন্ন ইস্যুতে একযোগী কাজ করার জন্য এটি একটি বড় সুযোগ হতে যাচ্ছে।
এই তিন-দেশ সফর ভারতের কূটনৈতিক শক্তিকে আরও দৃঢ় করবে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ভারতের বিদেশনীতি ও কূটনীতির প্রতি মোদির প্রতিশ্রুতি এবং নেতৃত্বের অবদান এই সফরগুলোকে বৈশ্বিক দৃশ্যে আরও প্রভাবশালী করে তুলবে।