ঝাড়খন্ড এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের (Illegal Immigration) সাথে সম্পর্কিত এক অর্থ পাচার মামলায় বাংলাদেশি নাগরিকসহ মোট চারজনকে গ্রেফতার (Arrests) করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এই অভিযানে বাংলাদেশের দুই নাগরিক এবং ভারতের দুই নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইডি (Enforcement Directorate) বলছে, এই গ্রেফতারির মাধ্যমে অবৈধ পাচারের সাথে যুক্ত একটি বড় চক্রের উন্মোচন হয়েছে।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশি নাগরিক রনি মণ্ডল এবং সমীর চৌধুরী, যারা অবৈধভাবে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করে ঝাড়খন্ডের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছিলেন, তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সাথে ভারতের পিন্টু হালদারও গ্রেফতার হয়েছেন। পরবর্তীতে, ওই একই মামলায় ভারতীয় নাগরিক পিঙ্কি বসুকে বুধবার হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ইডি জানিয়েছে, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ থেকে এই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা সবাই ভারতীয় সীমান্তে অবৈধভাবে মানব পাচারের জন্য সহযোগিতা করেছিল বলে অভিযোগ। মানব পাচার চক্রের সদস্যরা বাংলাদেশের নাগরিকদের ভারতে অনুপ্রবেশ করানোর জন্য নানা ধরণের কৌশল অবলম্বন করছিলেন এবং একই সাথে অর্থ পাচারের কাজও করছিলেন।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এই মামলায় ব্যাপক তদন্ত চালাচ্ছে এবং আরও অপরাধী সদস্যদের খোঁজ করার কাজ করছে। তাদের দাবি, এই পাচার চক্রের মাধ্যমে শুধু ভারত নয়, অন্য দেশে অবৈধভাবে অর্থ পাচার করা হত। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা ওই চক্রের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
ইডি কর্মকর্তারা জানান, রনি মণ্ডল ও সমীর চৌধুরী তাদের সহযোগী পিন্টু হালদার ও পিঙ্কি বসুর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ভারতে মানুষের অবৈধ প্রবেশের জন্য নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল। তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষের এদেশে অনুপ্রবেশের ব্যবস্থা করতো এবং তারপর পাচারকারীদের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তরের কাজ করতো।
ইডির এই সফল অভিযানের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অপরাধমূলক কার্যকলাপ ও পাচার চক্রের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ আরও সতর্ক হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং মানব পাচারের বিরুদ্ধে নজরদারি বাড়ানো হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে এই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে আরও জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষ এই ধরনের অপরাধমূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে আরও কঠোর হতে বলেছে, যাতে দেশকে নিরাপদ রাখা যায় এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ ও পাচারের প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।