আগামীকাল, ১৪ নভেম্বর, দিল্লির মেয়র ও ডেপুটি মেয়রের (Delhi Mayor Deputy Mayor) নির্বাচন (Election) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে (MCD)। এই নির্বাচনটি প্রথমে এপ্রিলে হওয়ার কথা ছিল, তবে একাধিক কারণে তা স্থগিত হয়ে ৭ মাস পর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। মেয়র পদের নির্বাচনের জন্য বিজেপির (BJP) কাউন্সিলর সত্য শর্মাকে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে, যা নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিতর্কের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা, বিশেষ করে দিল্লির বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে, যেখানে আম আদমি পার্টি (AAP) এবং বিজেপি উভয় দলই নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের জন্য প্রস্তুত।
বিজেপি এবং এএপি উভয় দলই মেয়র ও ডেপুটি মেয়রের পদে তাদের প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে। মেয়র পদের জন্য এএপি-র কাউন্সিলর মহেশ খিঞ্চি শাকুরপুর থেকে বিজেপির কিষাণ লালের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ডেপুটি মেয়র পদের জন্য, এএপি-র রবিন্দর ভরদ্বাজ এবং বিজেপির নীতা বিষ্টের মধ্যে তীব্র লড়াই হচ্ছে। এর ফলে, উভয় দলের মধ্যে রাজনৈতিক কোন্দল এবং উত্তেজনা বাড়তে পারে, বিশেষ করে যখন মেয়র পদের জন্য একটি দলিত প্রার্থী নির্বাচিত হতে চলেছে, যা একটি জাতিগত এবং সামাজিক মঞ্চে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে।
এমসিডির নির্বাচনে গোলমাল ও অস্থিরতার আশঙ্কা রয়েছে, কারণ এই নির্বাচনে বিশেষ করে দিল্লির দলের মধ্যে চরম বিরোধীতা দেখা যাচ্ছে। অতীতে এমসিডির নির্বাচনে নানা ধরনের নাটকীয়তা দেখা গেছে, বিশেষ করে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে, যেখানে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছিল। সেই সময়, ১০ জন অ্যাল্ডারম্যানকে মনোনীত করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এএপি তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং দাবি করেছিল যে এটি বিজেপির পক্ষে একটি ষড়যন্ত্র।
এই নির্বাচনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, কারণ এটি মেয়রের নতুন মেয়াদে দলিত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে পারে। এএপি তার নির্বাচনী প্রচারণায় দাবি করেছে যে তারা দলিত সম্প্রদায়ের কল্যাণের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করছে, তবে বিজেপি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে তারা এই সম্প্রদায়ের অধিকারের প্রতি অবিচার করছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই নির্বাচনটি দিল্লির রাজনৈতিক দৃশ্যপটের জন্য এক নতুন মোড় নিতে পারে, যেখানে দলের স্বার্থ এবং সম্প্রদায়ের অধিকার নিয়ে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হতে পারে।
এমসিডি নির্বাচনটি মেয়রের ভবিষ্যত পরিচালনা, শাসন ব্যবস্থা এবং দিল্লির সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, যখন দুই দলের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে, তখন এমসিডি-র ভূমিকা শহরের উন্নয়ন ও নাগরিক পরিষেবাগুলির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। রাজনৈতিক মহলে এই নির্বাচনকে ঘিরে আলোচনা চলছেই, এবং আগামীর দিনগুলিতে আরও উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।