ভারতের বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা সেবি (SEBI) ভেনুগোপাল ধুত এবং ভিডিওকন ইন্ডাস্ট্রিজের প্রোমোটর ইলেকট্রোপার্টস (ইন্ডিয়া)-এর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও ডিম্যাট শেয়ার হোল্ডিংস জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে। সেবি সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৬৮.৫ লক্ষ টাকার পাওনা মেটাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ৩০শে সেপ্টেম্বর সেবি একটি নোটিস পাঠায় ইলেকট্রোপার্টস (ইন্ডিয়া) প্রাইভেট লিমিটেড ও তাদের সিইও ভেনুগোপাল ধুতকে এবং জানায় যে ১৫ দিনের মধ্যে তাঁদের এই পাওনা মিটিয়ে দিতে হবে। অভিযোগ রয়েছে যে, ভেনুগোপাল ধুত ও তাঁর প্রতিষ্ঠান ভিডিওকন ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের ক্ষেত্রে ইনসাইডার ট্রেডিং কার্যকলাপে যুক্ত ছিল।
ইনসাইডার ট্রেডিং মামলার বিবরণ
ইনসাইডার ট্রেডিং মামলায় সেবি-র তদন্ত অনুযায়ী, ভেনুগোপাল ধুত এবং ইলেকট্রোপার্টস (ইন্ডিয়া) প্রাইভেট লিমিটেড গোপন তথ্য ব্যবহার করে শেয়ার লেনদেন করেছে, যা শেয়ার বাজারের সুশৃঙ্খল ব্যবস্থার জন্য ক্ষতিকর। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, তারা এমন কিছু তথ্যের সুবিধা নিয়ে ট্রেড করেছেন যা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে তখনও পৌঁছায়নি।
সেবি-র জব্দ আদেশ
ভেনুগোপাল ধুত এবং ইলেকট্রোপার্টস তাঁদের অর্থ প্রদান করতে ব্যর্থ হলে সেবি তাদের বিরুদ্ধে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট জব্দ করার নির্দেশ দেয়। এই সিদ্ধান্ত সেবি-র ক্ষমতায় পরিচালিত, যাতে তারা তাদের ফাইন বা জরিমানা আদায় করতে পারে। সেবি সাধারণত এমন সিদ্ধান্ত তখনই নেয় যখন অভিযুক্ত পক্ষ নির্দিষ্ট সময়ে জরিমানা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়।
ইলেকট্রোপার্টস-এর প্রতিক্রিয়া
এখনো পর্যন্ত ইলেকট্রোপার্টস বা ভেনুগোপাল ধুতের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে অর্থ না দেওয়ার কারণে সেবি-এর এমন কড়া পদক্ষেপ নেওয়া অপ্রত্যাশিত ছিল না।
বাজারে প্রভাব
এই ঘটনা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং ভিডিওকন ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের মূল্যে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশ্লেষকদের অনুমান। একইসঙ্গে এই সিদ্ধান্ত ভারতের বাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সেবি-র কঠোর অবস্থানকেও তুলে ধরে।
ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ
এখনও পর্যন্ত সেবি তাঁদের দিক থেকে আরও কোনো আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে জানায়নি। তবে ভেনুগোপাল ধুত এবং তাঁর কোম্পানি যদি পাওনা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সেবি আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে, যেমন সম্পত্তি বিক্রয় বা আরও জব্দ আদেশ।
এই ধরনের ঘটনাগুলি শুধুমাত্র বিনিয়োগকারীদের সচেতন করে তোলে না, বরং ভারতীয় বাজারের সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা হিসাবে কাজ করে।