বাইডেন সরে যাক! বাকি দিনগুলি কমলাই প্রেসিডেন্ট হোক, উত্তাল আমেরিকা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (US election) রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির একটি অংশের দাবি, যাতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) পদত্যাগ করে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে…

Kamala Harris become president despite losing to Trump

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (US election) রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির একটি অংশের দাবি, যাতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) পদত্যাগ করে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে (Kamala Harris) দায়িত্ব দেন। এই দাবিদারদের মধ্যে রয়েছেন বাইডেনের প্রাক্তন উপদেষ্টা জামাল সিমন্সও, যিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পাওয়ার যোগ্য। 

জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান তালিবানের, বিশ্বমঞ্চে আফগান প্রতিনিধিরা

   

কমলা হ্যারিসকে কেন্দ্র করে এই জল্পনা ও সমর্থন বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে, যেখানে নানা রিপোর্টে উঠে আসছে যে, কার্যত প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রশাসনের নানা কাজ ইতিমধ্যেই হ্যারিস চালাচ্ছেন। তবে এর বিরুদ্ধে কিছু সমালোচনাও রয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, জনপ্রিয় ভোটে পরাজিত এমন একজন প্রার্থীর প্রতি এই দায়িত্ব অর্পণ করা কতটা ন্যায্য হবে।

সম্প্রতি শেষ হওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হ্যারিস পরাজিত হয়েছেন। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে তিনি ব্যাপক ব্যবধানে হেরে গেছেন। বেশিরভাগ জনমত সমীক্ষায় দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত থাকলেও, ‘নীরব সমর্থক’ বলে পরিচিত ভোটারদের সমর্থনে ট্রাম্প নিরঙ্কুশ জয় ছিনিয়ে এনেছেন। 

আর বেশিদিন নয়! কানাডায় ট্রুডো পতনের দিন জানালেন ‘কিং মেকার’ মাস্ক

এই নির্বাচনে জয়ী হতে কোনও প্রার্থীর ২৭০ ইলেক্টোরাল ভোটের প্রয়োজন ছিল, যেখানে ট্রাম্প পেয়েছেন ৩১২ ভোট। অপরদিকে হ্যারিস মাত্র ২২৬ ভোট অর্জন করতে পেরেছেন। এই বিশাল ব্যবধানে হারের ফলে ট্রাম্প এবং রিপাবলিকান পার্টি শুধু প্রেসিডেন্ট পদেই নয়, বরং সিনেট ও হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসেও জয়লাভ করেছে, যা তাদের জন্য আরও শক্তিশালী রাজনৈতিক ক্ষমতার পথ তৈরি করেছে।

এই প্রেক্ষাপটে, ডেমোক্র্যাটদের একটি অংশ বাইডেনের সরে যাওয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করলেও, তা কতটা যুক্তিযুক্ত হবে, তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনে ব্যর্থ হ্যারিসের জন্য প্রেসিডেন্টের পদ তুলে দেওয়া কতটা গণতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচয় দেবে, সে প্রশ্নও উঠছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, এই পরিস্থিতি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জন্য আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে এবং বাইডেনের সরে যাওয়া নিয়ে তৈরি হওয়া অস্থিরতা রাজনৈতিক ক্ষেত্রকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। 

খুব শিগগিরি হামলা হবে কানাডার হিন্দু মন্দিরগুলিতে, ভিডিও বার্তা খালিস্তানি সন্ত্রাসী পান্নুনের

কমলা হ্যারিসের সমর্থকদের মধ্যেও এই ফলাফল নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে, কারণ তারা ট্রাম্পের এমন নিরঙ্কুশ বিজয় প্রত্যাশা করেননি। বর্তমানে সমর্থকদের একটি অংশ ডেমোক্র্যাটদের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে আছেন, যাতে হয়ত দেখা যেতে পারে দলের মধ্যে আরও পরিবর্তনের প্রয়াস।