আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ, উস্কানিমূলক মন্তব্যসহ নানান অভিযোগে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কমিশনে তৃণমূল

প্রতিবেশী বাংলাদেশের দৃষ্টান্ত দিয়ে ভিত্তিহীন প্রচার করার পাশাপাশি উস্কানিমূলক মন্তব্য করে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুধু…

TMC files complaint against Suvendu Adhikari with the Election Commission for violating the model code of conduct, provocative comments, and various other allegations.

প্রতিবেশী বাংলাদেশের দৃষ্টান্ত দিয়ে ভিত্তিহীন প্রচার করার পাশাপাশি উস্কানিমূলক মন্তব্য করে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুধু তাই নয়, সেই প্রচারে গিয়ে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে। আর বাংলার শাসকদল তৃণমূল শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এমনই সব অভিযোগ তুলে নালিশ ঠুকল নির্বাচন কমিশনে।

ঠিক কী বলেছিলেন বিরোধী দলনেতা? সম্প্রতি বাঁকুড়ার তালড্যাংরায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে তিনি বেশ কিছু আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তৃণমূলের অভিযোগ, প্রতিবেশী বাংলাদেশের দৃষ্টান্ত দিয়ে ভিত্তিহীন প্রচার করার পাশাপাশি ভোটারদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়েছেন শুভেন্দু।

   

যা ভারতের গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। সেইসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলামকেও তিনি আক্রমণ করেছেন বলে দাবি তৃণমূলের। এদিন প্রচারে গিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেছেন, “বাংলাদেশের ছবিগুলি দেখেছেন তো? ৫১৬টি মন্দির ওরা ভেঙেছে। বাংলাদেশের হিন্দুদের এবং জনজাতির উপরে কী অত্যাচার করেছে! এরা পশ্চিমবঙ্গকে দ্বিতীয় বাংলাদেশ করতে চায়।”

শুভেন্দুর এই মন্তব্যের ভিত্তিতে কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল। তাদের দাবি, “ভারতীয় গণতন্ত্রে এ ধরনের কথাবার্তা অগ্রহণযোগ্য, ভিত্তিহীন এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক। এখানে ধর্মকে হাতিয়ার হিসাবে কাজে লাগানো হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশকে এর সঙ্গে যুক্ত করে শান্তিপূর্ণ ভোটারদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করা হচ্ছে।”

কমিশনকে লেখা চিঠিতে শাসকদল জানিয়েছে, “তালড্যাংরায় সভা করতে গিয়ে শুভেন্দু গত ৯ নভেম্বর কিছু হিংসাত্মক এবং সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেছেন। যা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে। প্ররোচনামূলক মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি আমাদের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলামকে আক্রমণ করেছেন। পড়শি বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও কথা বলেছেন।”

তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি প্রতিবার ভোটের আগে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করে এলাকার শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য পরিস্থিতি নষ্ট করার চেষ্টা করে। সাংবিধানিক গণতন্ত্রের পক্ষে এ ধরনের আচরণ বিপজ্জনক বলে নির্বাচন কমিশনের কাছে শুভেন্দু এবং তাঁর দলের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে আইনি পদক্ষেপের আবেদন জানিয়েছে তৃণমূল। বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া নির্দেশিকা জারি করার দাবি জানিয়েছে তারা।

সেখানে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি কমিশনকে লেখা চিঠিতে তাদের আদর্শ আচরণবিধির সংশ্লিষ্ট তিনটি ধারাও উল্লেখ করেছে তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনে নালিশ ঠুকতেই বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “তৃণমূল শুভেন্দু আতঙ্কে ভুগছে। জলেও শুভেন্দুকে দেখছে, আয়নার সামনে দাঁড়ালেও শুভেন্দুকে দেখছে।

উনি বাংলাদেশ নিয়ে যা বলেছেন, তা আমাদের দলের স্ট্যান্ড। আমরা এই ধরনের কথা আরও বলব। মনে রাখতে হবে বাংলাদেশে যাঁরা আক্রান্ত তাঁরা স্বাধীন ভারতের জন্য লড়াই করেছিলেন। পাকিস্তানের জন্য নয়। ওঁরা আমাদের ভাই, আমাদের রক্ত।”