নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার মিচেল স্যান্টনার (Mitchell Santner) শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তাঁর ৩,০০০ আন্তর্জাতিক রান পূর্ণ করলেন। রবিবার ডাম্বুলায় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক হিসেবে তিনি ব্যাট করতে নেমে ২৪ বলে ১৯ রান করেন। যদিও বড় কোনো ইনিংস খেলতে পারেননি, কিন্তু এই রান করার পথে তিনি দুটি চার মারেন। শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার পেসার মাথিশা পাথিরানার বলে আউট হন তিনি।
এই মাইলফলক স্পর্শ করতে স্যান্টনারের লেগেছে মোট ২৩৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ, যেখানে তিনি ১৯১ ইনিংসে ২২.৯৪ গড়ে মোট ৩,০০৬ রান সংগ্রহ করেছেন। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে একটি শতক এবং সাতটি অর্ধশতক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর সেরা ইনিংসটি ১২৬ রানের, যা তিনি টেস্ট ফরম্যাটে করেছিলেন।
টেস্টে স্যান্টনারের রেকর্ড
টেস্ট ক্রিকেটে মিচেল স্যান্টনার এখন পর্যন্ত ২৯টি ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে তিনি ৪১ ইনিংসে ৯৪১ রান করেছেন। তাঁর ব্যাটিং গড় ২৪.১২, যা একজন অলরাউন্ডারের জন্য যথেষ্ট প্রশংসনীয়। টেস্টে তাঁর সেরা ইনিংস ১২৬ রান এবং এ ফরম্যাটে তিনি একটি শতক ও তিনটি অর্ধশতক করেছেন।
ওয়ানডে ক্রিকেটে সাফল্য
স্যান্টনার ১০৪টি ওয়ানডে ম্যাচে ১,৩৫৫ রান সংগ্রহ করেছেন। এই ফরম্যাটে তাঁর ব্যাটিং গড় ২৭.৬৫ এবং স্ট্রাইক রেট ৯১-এর উপরে। ওয়ানডেতে তাঁর সেরা ইনিংস ৬৭ রান, যেখানে তিনটি অর্ধশতক রয়েছে। অলরাউন্ডার হিসেবে তাঁর ধারাবাহিক পারফরম্যান্স নিউজিল্যান্ডের ওয়ানডে দলের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হয়েছে।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অবদান
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মিচেল স্যান্টনার ১০৬টি ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন এবং ৭১০ রান করেছেন। টি-টোয়েন্টিতে তাঁর গড় ১৬.৫১ এবং স্ট্রাইক রেট প্রায় ১২০, যেখানে একটি অর্ধশতক আছে। এই ফরম্যাটে তাঁর সেরা স্কোর ৭৭*।
ম্যাচের বিবরণ
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের শুরুতে শ্রীলঙ্কা টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয়। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে। উইল ইয়ং ৩০ রান করেন ৩২ বলে, যেখানে তিনটি চার ছিল এবং জশ ক্লার্কসন ২৪ রান করেন ২৫ বলে, যেখানে দুটি ছক্কা ছিল। তবে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ হয় এবং শেষ পর্যন্ত ১৯.৩ ওভারে ১০৮ রানেই অলআউট হয়ে যায়।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা এবং মাথিশা পাথিরানা দুর্দান্ত বোলিং করেন। হাসারাঙ্গা ১৭ রানে ৪ উইকেট নেন এবং পাথিরানা ১১ রানে ৩ উইকেট নেন। এই দুর্দান্ত বোলিংয়ের ফলে নিউজিল্যান্ড ১০৮ রানে গুটিয়ে যায়। এখন শ্রীলঙ্কার হাতে ১০৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে এবং তারা সিরিজটি ২-০ ব্যবধানে জয়ের লক্ষ্যে নামছে।
এই ম্যাচে স্যান্টনারের ৩,০০০ রান পূর্ণ করার ঘটনাটি নিউজিল্যান্ডের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। অলরাউন্ডার হিসেবে তাঁর ব্যাটিং ও বোলিং পারফরম্যান্স দলকে শক্তিশালী করে এবং তাঁর এই নতুন মাইলফলকটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর ধারাবাহিকতার প্রমাণ দেয়।
নিউজিল্যান্ডের চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা
নিউজিল্যান্ডের দলটি তরুণ খেলোয়াড়দের সাথে গড়ে তোলা হচ্ছে এবং মিচেল স্যান্টনারের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের কাছ থেকে তারা নেতৃত্ব পেতে চায়। স্যান্টনারের এই মাইলফলক স্পর্শ করার পাশাপাশি তাঁকে ঘিরে তরুণরা অনুপ্রাণিত হয়। একই সাথে নিউজিল্যান্ড দল ভবিষ্যতে শক্তিশালী পারফরম্যান্সের লক্ষ্যে মাঠে নামতে চায়।