গণবিক্ষোভে ক্ষমতাচ্যুত হবার পর ফানুসের মতো বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে মিলিয়ে যেতে শুরু করেছে দেশটির রাজনৈতিক ইতিহাসের বৃহত্তম অংশীদার আওয়ামী লীগ। রবিবার(১০ নভেম্বর) পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে সমাবেশ করার ডাক দিলেও সেটি সফল হলো না। দল যে ফিনিশ হচ্ছে তার প্রমাণ পেলেন দলনেত্রী (Sheikh Hasina) শেখ হাসিনা। তিনি ভারতে আশ্রিত।
বাংলাদেশে টানা ১৫ বছর সরকার চালানোর সময় আওয়ামী লীগ ছিল একমেদ্বিতীয়ম। তবে গত ৫ আগস্ট সেই ছবি বদলে যায়। রক্তাক্ত গণবিক্ষোভে ক্ষমতাচ্যুত হন হাসিনা। তিনি দেশত্যাগ করেন। এই ঘটনার তিন মাসের মাথায় প্রথমবার প্রকাশ্য সমাবেশ করার চেষ্টা করে বিফল আওয়ামী লীগ।
রবিবার ঢাকার গুলিস্তানে সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঞ্চ। তাদের হুমকির সামনে আর সেখানে জমায়েত করার সাহস দেখায়নি আওয়ামী লীগ। তাদের সমাবেশ রুখতে ঢাকাসহ সর্বত্র আধা সেনা মোতায়েন করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। কিছু বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়।
১০ নভেম্বর বাংলাদেশে “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার দিবস” পালিত হয়। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর তৎকালীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে ‘স্বৈরাচারী ও সামরিক’ শাসন বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের গুলিতে নিহত হন নূর হোসেন। তিনি দেহে লিখে রেখেছিলেন ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’। তৎকালীন এই আন্দোলনে অংশ নিলেও গত পনেরো বছরে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও ‘স্বৈরাচারী’ তকমা লেগেছে। যার ফলে সরকারি চাকরিতে আসন সংরক্ষণ ইস্যুতে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ ক্রমে গণবিক্ষোভে পরিণত হয়। রক্তাক্ত সেই বিক্ষোভে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন।
হাসিনা দেশত্যাগী হওয়ার পর বারবার দলীয় নেতা-কর্মীদের ভিডিও এবং অডিও বার্তা দিয়ে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন। তার বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে মামলা করেছে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।