মোটা টাকার টোপ, যেভাবে ফাঁদ পেতে শিশু পাচারকারি ধরল সিআইডি

শিশু পাচার চক্রের (Child trafficking) পর্দাফাস করে ফের একবার বড় সাফল্য পেল পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি (CID)। একাধিক সূত্রের ভিত্তিতে এবং দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের পর অবশেষে পাচারকারীদের ফাঁদে…

CID arrested two person for child trafficking

শিশু পাচার চক্রের (Child trafficking) পর্দাফাস করে ফের একবার বড় সাফল্য পেল পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি (CID)। একাধিক সূত্রের ভিত্তিতে এবং দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের পর অবশেষে পাচারকারীদের ফাঁদে ফেলতে সক্ষম হয় রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থাটি। রবিবার বিহারের পাটনা থেকে শালিমার রেল স্টেশনে আসা দুরন্ত এক্সপ্রেসে এই শিশু পাচারের ঘটনা ঘটে। সিআইডি আগে থেকেই খবর পেয়ে ফাঁদ পেতে অপেক্ষা করছিল, এবং পাচারকারীরা ট্রেন থেকে নামার পরেই তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

ট্রাম্পকে হত্যা করতে পাক-আফগানদের ব্যবহার করছে ইরান, রিপোর্টে চাঞ্চল্য

   

গোয়েন্দা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, গ্রেফতারকৃত পাচারকারী দম্পতির নাম মানিক হালদার ও মুকুল সরকার। তারা মাত্র ২ দিনের একটি শিশুকন্যাকে পাচারের জন্য পাটনা থেকে নিয়ে আসছিলেন। সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, একটি এনজিওর সঙ্গে যুক্ত এই পাচারকারীরা (Child trafficking) বাবা-মা সেজে এই শিশু পাচারের কাজ করছিল। এক এনজিও কর্মীকে শিশুর বাবা-মা সাজিয়ে এবং শিশুটি কেনার নামে ফাঁদ পেতে সিআইডির একটি বিশেষ দল এই অভিযান চালায়। গোটা পরিকল্পনার মধ্যে ছিল ৪ লক্ষ টাকার লেনদেন, যাতে পাচারকারীরা শিশুটিকে বিক্রি করার পরিকল্পনা করে।

প্রচুর অস্ত্রসহ কলকাতা পুলিশের জালে মহম্মদ ইসরাইল

সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, শালিমার স্টেশনের বাইরে গোপন খবরের ভিত্তিতে সিআইডি কর্মকর্তারা প্রস্তুতি নেন। পাচারকারীরা স্টেশন চত্বরে পৌঁছানো মাত্রই সিআইডি তাদের গ্রেফতার করে। এরপর দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে উঠে আসে একাধিক তথ্য, যার ভিত্তিতে সিআইডি আরও বড় পাচার চক্রের তদন্তে নামতে পারে বলে জানা গেছে।

এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত এনজিওর কয়েকজন সদস্যের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারা পাচারকাজে কীভাবে সহায়তা করছিলেন এবং এর পেছনে কোনো বড় চক্র সক্রিয় ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিআইডি’র তরফে বলা হয়েছে, শিশুটি বর্তমানে নিরাপদে আছে এবং তাকে সুরক্ষিত স্থানে রাখা হয়েছে। পুলিশের তরফে শিশুটিকে যথাযথভাবে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরজি কর-কাণ্ডে ফের রাজপথে জুনিয়র ডাক্তাররা, দিলেন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ডাক

শিশু পাচারের ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা শিশু পাচারকারীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শিশু পাচারের ঘটনা বাড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। সিআইডি এই চক্রের পেছনে থাকা মূল হোতাদের গ্রেফতারের জন্য আরও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।