৯ নভেম্বর, শনিবার কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডার্বিতে (Kolkata Derby) এক নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকল ফুটবলপ্রেমীরা। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (ISL) ইস্টবেঙ্গল বনাম বনাম মহামেডান (East Bengal vs Mohammedan) ম্যাচে ২৯ মিনিটের মাথায় জোড়া লাল কার্ড দেখে লাল-হলুদের নন্দ কুমার এবং নাওরেম মহেশ। ম্যাচ রেফারি (ISL Match Referee) হরিশ কুণ্ডুর এই সিদ্ধান্তে সারা মাঠে তোলপাড় শুরু হয়, এবং ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা (East Bengal Supporters) ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তবে মশাল ব্রিগেডের কোচ অস্কার ব্রুজো (Oscar Bruzon) এই ঘটনার পর কোনও মন্তব্য না করে ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ‘‘রেফারিং নিয়ে কিছু বলাটা ঠিক নয়, তবে আমাদের খেলোয়াড়দের আরও সতর্ক থাকতে হবে।’’
ইস্টবেঙ্গলের জন্য এই ম্যাচ ছিল এক কঠিন মুহূর্তের মাঝে আশা। গত ছয় ম্যাচে তারা একটিও পয়েন্ট পায়নি, কিন্তু সপ্তম ম্যাচে মহামেডান স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করে ১ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পেরেছে। এই ড্র দলটির জন্য নিঃসন্দেহে একটি নৈতিক জয়। কোচ অস্কার বললেন, ‘‘আমরা ম্যাচ জিততে পারিনি, তবে হারিনি। এই ড্র আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। আমাদের লক্ষ্য অবশ্যই পরবর্তী ম্যাচে জয়।’’
ড্র-এর পর, ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়দের লড়াকু মনোবল দেখে প্রশংসা করেছেন অস্কার। তিনি জানালেন, ‘‘এই পারফরম্যন্সের কৃতিত্ব সম্পূর্ণভাবে আমার ফুটবলারদের। তারা জানে কীভাবে মাঠে লড়াই করতে হয়।’’ তবে, মাঠের বাইরের অশান্তির বিষয়টি তিনি এড়াতে চাননি। দলের দুই ফুটবলার নন্দকুমার ও মহেশের শৃঙ্খলাপরায়ণ আচরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মহেশ বিপক্ষের ডাগআউট লক্ষ্য করে জলের বোতলে লাথি মারায় তাকে নিয়ে শৃঙ্খলাপরায়ণ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ইস্টবেঙ্গলের জন্য এই ম্যাচটি নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। তারা নিজেদের ট্র্যাকে ফিরতে চায়, এবং কোচ অস্কারের আশা, ‘‘পরবর্তী ম্যাচে আমরা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামব। সমর্থকদের পাশে থাকলে আমাদের জন্য এই লড়াই আরও সহজ হবে।’’এখন ইস্টবেঙ্গলের পরবর্তী ম্যাচটি ২০ দিন পরে, নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল আরও ভালো পারফরম্যন্স প্রদর্শন করতে পারলে, তাদের আত্মবিশ্বাস আরও বৃদ্ধি পাবে।
এদিন ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লাল-হলুদ শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, “এটা রেফারির জয়। রেফারি, ম্যাচ কমিশনার এদের কৃতিত্ব রয়েছে। ইস্টবেঙ্গলকে টপ সিক্সে যেতে না দেওয়ার একটা পরিকল্পনা বলেই আমার ধারনা। আমরা যতগুলো ম্যাচ মিস করেছি প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা বঞ্চিত হয়েছি।”