মহামেডানের বিপক্ষে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই, দল নিয়ে আশাবাদী সৌভিক

গত শনিবার ঘরের মাঠে আইএসএলের দ্বিতীয় ডার্বি খেলতে নেমেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) । তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল শক্তিশালী মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি…

souvik chakrabarti east bengal player

short-samachar

গত শনিবার ঘরের মাঠে আইএসএলের দ্বিতীয় ডার্বি খেলতে নেমেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) । তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল শক্তিশালী মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময় থেকেই লাল-হলুদ যথেষ্ট চাপে পড়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত অনবদ্য লড়াই করেন দলের ডিফেন্ডাররা। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে গোলশূন্য ফলাফলে শেষ হয় এই ফুটবল ম্যাচ। যারফলে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের এই মরসুমে প্রথম পয়েন্ট পেল মশাল ব্রিগেড। পূর্বে দেশের এই প্রথম ডিভিশন লিগে তারা ছয়টি ম্যাচে লড়াই করেও পরাজিত হতে হয়েছিল ময়দানের এই প্রধানকে।

   

সেখান থেকে দলের প্রথম পয়েন্ট আসায় কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস বাড়বে লাল-হলুদ ফুটবলারদের। তবে এদিন ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে যথেষ্ট হতাশ সকলে। উল্লেখ্য, এই হাইভোল্টেজ ম্যাচের প্রথমার্ধের দ্বিতীয় কোয়ার্টার শেষ হওয়ার আগেই জোড়া লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল মশাল ব্রিগেডের দুই দাপুটে ফুটবলার তথা নন্দকুমার সেকার এবং নাওরেম মহেশ সিংকে। যা নিঃসন্দেহে বিরাট বড় ধাক্কা ছিল দলের কাছে। তবুও নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল থেকেছেন সাউল ক্রেসপো থেকে শুরু করে আনোয়ার আলির মতো ফুটবলাররা।

তবে প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময় লাল-হলুদের পেনাল্টির দাবিকে কেন্দ্র করে রেফারি সিদ্ধান্ত কিছুটা হলেও যেন ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল সকলকে। পরবর্তীতে স্টেডিয়াম ছাড়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেই সংক্রান্ত বিষয় নিজের মতামত তুলে ধরেন বাঙালি মিডফিল্ডার সৌভিক চক্রবর্তী (Souvik Chakrabarti)। তিনি বলেন, ” যতক্ষণ না রিপ্লে দেখছি সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে মনে হয়েছিল ওটা পেনাল্টি। তবে দিমির সঙ্গে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তাঁতে সেটা মনে হওয়াই স্বাভাবিক। তবে রিপ্লে দেখলে সঠিকভাবে বোঝা যাবে।”

পাশাপাশি এদিন অধিকাংশ সময় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নয়জনে লড়াই করে পয়েন্ট আদায় করে দলের যে আত্মবিশ্বাস বাড়বে সেটাই জানিয়ে গেলেন সৌভিক। তাঁর কথায়, ” নয়জনে খেলে দলের এই পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। সবাই জানে যে প্রতিপক্ষের এগারো জনের বিপক্ষে নয়জনে লড়াই করাটা যে কতটা কঠিন। বিশেষ করে সেটা যদি ম্যাচের প্রথমার্ধ থেকে হয়। তবে এই পারফরম্যান্স দলের ফুটবলারদের মনোভাবে প্রভাব ফেলবে। নিজেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।”