Border Infiltration: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে অনুপ্রবেশের (border infiltration) বিরুদ্ধে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার রুপরেখা (3-layer security plan) তৈরি করেছে সেনাবাহিনী। এই নিরাপত্তা বলয় তিন স্তরে প্রস্তুত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে জম্মু ও কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের ঘটনা বেড়েছে এবং জঙ্গি হামলা অব্যাহত রয়েছে। জঙ্গিরা বিশেষভাবে টার্গেট কিলিং চালাচ্ছে এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বাইরের লোকজন, সরকারী ও পুলিশ কর্মচারীদের টার্গেট করছে।
অনুপ্রবেশ মোকাবেলা ও নিয়ন্ত্রণ করতে সেনাবাহিনী তিন স্তরের কৌশল তৈরি করেছে। আসুন জেনে নিন সেনাবাহিনী কী কৌশল তৈরি করেছে?
প্রথম স্তর: নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Control)
কাশ্মীরের গুরেজ থেকে উরি পর্যন্ত এবং জম্মুর পুঞ্জ থেকে আখনুর পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ রেখা বলা হয়। তাই নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভৌত ও প্রযুক্তিগত নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
সেনাবাহিনী এসব স্থানে অনুপ্রবেশ বিরোধী অভিযান জোরদার করেছে। এ জন্য গাড়ির বেড়া, হাই ডেফিনিশন ক্যামেরা, দূর থেকে চালিত যানবাহন, ড্রোন স্থাপন, নাইট ভিশন ডিভাইস মোতায়েন করা হবে। যেখানে সুড়ঙ্গ ও গুহা রয়েছে, সেখানে অত্যাধুনিক মাইন ও বিস্ফোরক স্থাপন করা হয়েছে। সীমান্তে উপস্থিত গুহাগুলো ম্যাপ করা হচ্ছে।
পাশাপাশি সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর ম্যাপিং করা হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, একটি গ্রামে 50 জন লোক থাকলে এবং যদি কেউ 51 জন আসে, সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে তা জানতে পারবে। বিডিসি অর্থাৎ ব্লক ডেভেলপমেন্ট কমিটির লোকজনকে শক্তিশালী করা হচ্ছে এবং তাদের নতুন যন্ত্রপাতি দেওয়া হচ্ছে।
দ্বিতীয় স্তর: রিসেপশন এলাকা (Reception area)
রিসেপশন এলাকা তাকে বলে যেখানে একটি জঙ্গি ভিতরে অনুপ্রবেশ করেছে তার ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কারের সাথে দেখা করে। এই এলাকায় মোতায়েন বাড়ানো হয়েছে, সিআরপিএফও এই এলাকায় কড়া নজর রাখছে। এখানে বিশেষ ধরনের ক্যামেরা বসানো হয়েছে যেগুলো সহজে দেখতে পাওয়া খুবই কষ্টকর।
তৃতীয় স্তর: অন্তঃভূমি (Hinter land)
এটি একটি জনবহুল এলাকা, যেখানে অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিরা তাদের ওভারগ্রাউন্ড কর্মীদের সহায়তায় লুকিয়ে থাকে। এসব এলাকায় সাধারণ পোশাকধারীদের মোতায়েন বাড়ানো হয়েছে। এখানে নজরদারির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে, কারণ আগে জঙ্গিরা ওভারগ্রাউন্ড কর্মীদের হটস্পট ব্যবহার করত, এখন তারা যোগাযোগের জন্য অর্থপ্রদানকারী অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে, যার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাঙা কঠিন। সে জন্য এখন ডোর টু ডোর নজরদারি করা হচ্ছে। এছাড়াও, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, সেনা, সিআরপিএফ এবং সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের জন্য ছদ্ম অভিযান শুরু করেছে।