‘ফাইভ আইজ’ দেশ অস্ট্রেলিয়া থেকে কানাডাকে চাপ জয়শঙ্করের, খালিস্তান নিয়ে সুর নরম ট্রুডোর

খালিস্তানি (Khalistan) ইস্যুতে অবস্থান বদলের ইঙ্গিত শোনা গেল কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর (Justin Truedeau)  গলায়। সম্প্রতি দীপাবলি উপলক্ষ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সেদেশের…

India canada conflict justin trueadua

খালিস্তানি (Khalistan) ইস্যুতে অবস্থান বদলের ইঙ্গিত শোনা গেল কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর (Justin Truedeau)  গলায়। সম্প্রতি দীপাবলি উপলক্ষ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে খালিস্তানিরা শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করেন না বলেই দাবি করেন। আর ট্রুডোর পক্ষ থেকে এই মন্তব্য আসার পরই রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে কানাডার প্রশাসন (India Canada row)। 

মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খন্ড নির্বাচনের আগে কংগ্রেসকে আক্রমণ মোদীর, পাল্টা প্রতিক্রিয়া রাহুলের

   

সম্প্রতি কানাডার মাটিতে খলিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জরকে হত্যার অভিযোগ সেদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনারকে নিশানা করেছিল ট্রুডো সরকার। এরই মধ্যে কানাডা সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার টরন্টোর ভারতীয় দূতাবাস যাবতীয় সামাজিক কর্মসূচি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বাতিল করে দেয়।

খলিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জরকে হত্যাকে কেন্দ্র করে বিগত একবছর ধরেই ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে নেমেছে। তারমধ্যে সম্প্রতি নিজ্জর হত্যার পেছনে মোদী-ঘনিষ্ট নেতা হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকে আঙুল তুলেছিল কানাডা। তারপরই দু-দেশের সম্পর্কে আরও বেড়েছে অস্থিরতা। তবে সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে ভারত-বিরোধী শক্তি হিসেবে খালিস্তানিদের মদত দেওয়ার জন্য কানাডাকে বিদেশের মাটি থেকেই আক্রমণ করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। তার কারণ কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, আমেরিকা ও নিউজিল্যান্ডের মতো দেশগুলি ‘ফাইভ আইজ কান্ট্রিজ’ নামে পরিচিত। এটি এই পাঁচটি দেশের মিলিত গুপ্তচর সংস্থা। 

ফের সুদের হার কমাল আমেরিকার ফেডারেল ব্যাঙ্ক, কতটা প্রভাব পড়বে বিশ্ব বাজারে

অস্ট্রেলিয়া যারমধ্যে অন্যতম সদস্য। সেই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক যথেষ্ট মজবুত। পাশাপাশি দুটি দেশই চিন বিরোধী কোয়াড গ্রুপের সদস্য হওয়ায় ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক বোঝাপড়া ভালো। এমন অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ার মতো মিত্র দেশের কাছে কানাডাকে নিয়ে ভারতের নালিশ যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলেছে ট্রুডো প্রশাসনকে। 

বাংলাদেশকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে বলল ভারত সরকার

আগামী বছরই কানাডায় সাধারন নির্বাচন। বিভিন্ন ইস্যুতে রীতিমতো কোনঠাসা ট্রুডোর লিবারাল সরকার। তারমধ্যে খালিস্তানিদের সমর্থন লাভের আশায় হিন্দু ভোট হারাতে পারেন বলেও মনে করছে ট্রুডোর পলিটিক্যাল থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। যার লাভ ওঠাতে পারে বিরোধী নেতা পিয়ের পরিভিয়রের কনসারভেটিব শিবির। ফলে এই অবস্থায় ঘরে-বাইরে বেজায় চাপে রয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। তাই বাইরে ভারতের চাপ সামলাতে ঘরের হিন্দু ভোট গোছাতে চাইছেন ট্রুডো প্রশাসন। তাই ভারত-কানাডা সংঘাতের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর এই মন্তব্য সেই ‘ভোট-হারানোর ভয়’কেই আশঙ্কিত করছে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। তবে হিন্দু মন রাখতে খালিস্তানিদের থেকে কতটা দুরত্ব বাড়াতে পারেন ট্রুডো সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে নয়াদিল্লি।