সরকারি হাসপাতালের (Government Hospitals) বেহাল দশা, ১৪ বছর আগে লাগানো ফায়ার সিস্টেমের (Fire System) পরিচালকের অভাব। ছত্তিশগড়ের বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতাল অগ্নিসংযোগ ও জরুরি ঘটনা মোকাবেলায় প্রস্তুত নয়। রাজ্যের বৃহত্তম হাসপাতাল ডঃ ভীমরাও আম্বেদকর হাসপাতালে প্রায় ১৪ বছর আগে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ফায়ার সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু এটি পরিচালনার জন্য এখনো কোনো টেকনিশিয়ান নিয়োগ করা হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে ফায়ার সিস্টেম সময়মতো কাজ করবে কি না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
আসলে, সম্প্রতি আম্বেদকর হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ট্রমা সেন্টারের অপারেশন থিয়েটারে আগুন ও ধোঁয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে হাসপাতালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। হাসপাতালের ফায়ার সিস্টেম কাজ করলে আগুন এবং ধোঁয়া ভর্তির ঘটনা এড়াতে ফায়ার ব্রিগেড দল এবং এসডিআরএফকে ডাকার দরকার হত না। ঘটনাটি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যেত।
কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতালে স্থাপিত ফায়ার সিস্টেম নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে। সর্বোপরি ফায়ার সিস্টেম চালানোর জন্য কেন কোনো কর্মী নিয়োগ করা হয়নি? এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ফায়ার ইন্সট্রুমেন্টগুলো দীর্ঘদিন ধরে পরিদর্শন করা হয়নি বলে জানা গেছে। এছাড়াও, এই ধরনের জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলায় হাসপাতালে কতজন প্রশিক্ষিত কর্মী রয়েছে তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে, তবে উত্তর নেই কারও কাছে।
আম্বেদকর হাসপাতালে, যার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব অর্ধ ডজন ইলেকট্রিশিয়ান, যারা চুক্তিবদ্ধ কর্মচারী। সাধারণত গ্রীষ্মকালে ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির রক্ষণাবেক্ষণ করা হলেও সারা বছরই এসি ব্যবহার করা হয়। হাসপাতালে কেন্দ্রীভূত কুলিং সিস্টেমের একটি পরিকল্পনা ছিল যা এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ হয়নি।
তথ্য অনুযায়ী, আম্বেদকর হাসপাতালে শুধু ফায়ার সিস্টেমই নয়, অনেক এক্স-রে মেশিন, সোনোগ্রাফি মেশিন, সিটি স্ক্যান মেশিন, এমআরআই মেশিন এবং অনেক মনিটরও গত কয়েকদিন ধরে বন্ধ থাকলেও সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না। যার কারণে প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগীদের।
রায়পুরের ভীমরাও আম্বেদকর হাসপাতালের ওপিডিতে প্রতিদিন প্রায় ১৪০০ থেকে ১৫০০ মানুষ আসেন। স্বাস্থ্য সুবিধাগুলো মৌলিক সুবিধার আওতায় আসে, তাই স্বাস্থ্য বিভাগকে প্রথমে এই হাসপাতালটিকে পুরোপুরি সংস্কার করতে হবে, যাতে রোগীরা উন্নত চিকিৎসার পাশাপাশি সুযোগ-সুবিধা পেতে পারে।