দ্রোহের আলোতে নিজেদের হাতে আইন তুলে নেওয়ার আহ্বান, শ্রীলেখার

যেখানে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। সেখানে প্রায় তিন মাস হতে চলল আরজি কর কাণ্ডের (Rg kar case)। এই ঘটনার…

sreelekha-mitra

যেখানে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। সেখানে প্রায় তিন মাস হতে চলল আরজি কর কাণ্ডের (Rg kar case)। এই ঘটনার এখনও বিচার হয়নি, আর তাই তার প্রতিবাদে গতকাল শহরের বুকে অনুষ্ঠিত হলো ‘দ্রোহের আলো’ কর্মসূচি। এই প্রতিবাদ সভায় যোগদান করেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra) । তিনি রাসবিহারী থেকে প্রতিবাদে অংশ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আবারও ক্ষোভ উগরে দেন।

শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra) এদিন এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “প্রতিদিন খবরের কাগজ বা সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই দেখি বাচ্চা মেয়েদের ধর্ষণের ঘটনা। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী কিংবা পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমাদের কোনো আশা নেই। এ কারণে সাধারণ মানুষ নিজেদের হাতে আইন তুলে নিচ্ছে। ফালাকাটায় এবং পটাশপুরে যেভাবে ঘটনার অবসান হয়েছে, সেগুলো আমাদের দেখাচ্ছে যে সঠিক ব্যবস্থা না নেওয়া হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।”

   

তিনি আরও বলেন, “মা দুর্গার মতো আমাদের অসুর বধ করতে হবে। ময়দানে নামতে হবে পটাশপুর বা ফালাকাটার মানুষের মতো। আমরা কেন পথে নামছি না? সব বিভাগ ফেলে রেখেছে। দুটো গান বা কবিতা বললে কি হবে? এই পোস্টার হোর্ডিংগুলো আমাদের নামিয়ে ফেলতে হবে। এখন ভ্যান্ডালিজমের প্রয়োজন। অস্ত্র তুলে নিতে হয় বিপ্লব করতে গেলে। আইনজীবীরা আছেন, জেলে গেলে তারা আমাদের রক্ষা করবেন।”

এদিনের প্রতিবাদ সভায় শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra) একা ছিলেন না। সিপিএম নেতা এবং আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যও এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই মিলে সরকারের উদ্দেশে প্রতিবাদের ডাক দেন। বিকাশ রঞ্জন বলেন, “এখন সময় এসেছে, যখন আমাদের সমাজের এই সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। আমরা যদি একসঙ্গে না দাঁড়াই, তবে পরিবর্তন আসবে না।”

এদিকে, ঘটনার তদন্তে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে। মানুষ তাদের নিরাপত্তা এবং ন্যায়বিচারের জন্য সোচ্চার হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে এ ধরনের প্রতিবাদ এবং আলোচনা ছড়িয়ে পড়ছে, যা সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করছে।

অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের (Sreelekha Mitra) বক্তব্যে যে আবেগ ও উত্তেজনা ছিল, তা সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। তিনি বলেছেন, “আমাদের নিজেদের হাতে আইন তুলে নিতে হবে। আমরা যদি নিজেদের নিরাপত্তা চাই, তবে আমাদের লড়াই করতে হবে।”