ভাইফোঁটার বাজারে হাতে ছ্যাঁকা গৃহস্থের

ভাইফোঁটার (Bhaiphonta) আনন্দের মধ্যে থাকে বিশেষ কিছু আবেগ এবং স্মৃতি। বছরের এই দিনটি ভাইবোনের সম্পর্ককে আরও মজবুত করে তোলে। উৎসবের মরশুমে বাড়ির প্রতিটি সদস্যের মুখে…

Bhaiphonta Market Prices

short-samachar

ভাইফোঁটার (Bhaiphonta) আনন্দের মধ্যে থাকে বিশেষ কিছু আবেগ এবং স্মৃতি। বছরের এই দিনটি ভাইবোনের সম্পর্ককে আরও মজবুত করে তোলে। উৎসবের মরশুমে বাড়ির প্রতিটি সদস্যের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য সবাই রাত জেগে প্রস্তুতি করে। মায়েরা রান্নাঘরে ব্যস্ত, নানা রকমের সুস্বাদু খাবার প্রস্তুত করছেন। আর বাবা-মায়েরা বাজারে (Market) গিয়ে সেরা সবজি এবং মাছ কেনার জন্য প্রতিযোগিতা করছেন।

   

বাজারে পা রেখেই দেখা যায়, সবজি, মাছ, মাংস, ফল এবং মিষ্টির দাম (Prices) রীতিমতো আকাশ ছোঁয়া। ভাইফোঁটার আগের দিন থেকেই বাজারে চলছে জমজমাট কেনাকাটা। বিশেষ করে চলতি বছরে দক্ষিণবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির কারণে শাকসবজির মূল্য বেড়েছে। প্রচুর সবজি পচে যাওয়ার ফলে দামও চড়া হয়ে উঠেছে। যেমন চন্দ্রমুখী আলুর দাম ৩৬ টাকা প্রতি কেজি, জ্যোতি আলু ৩০-৩২ টাকা। বেগুনের দাম ১৫০-১৭০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, কাঁচালঙ্কা ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটোর দাম ১০০-১২০ টাকা এবং বিনস ১০০ টাকায়।

মাছ-মাংসের বাজারও একইভাবে আগুন। কলকাতার বাজারে এক কেজি ইলিশের দাম ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকার কাছাকাছি। দেড় কেজির ইলিশের দাম প্রায় আঠারোশো টাকা। ভাইফোঁটায় পাবদা এবং ভেটকি থাকবে না, তা তো হতে পারে না! বাজারে পাবদা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে, আর ভেটকির দাম ৫০০-৫৫০ টাকার মধ্যে। মাঝারি মাপের বাগদার দাম ৮০০ টাকা। মুরগির মাংসের দাম ২৫০ টাকার আশেপাশে, খাসির মাংস ১০০০ টাকার কাছাকাছি।

ফলের বাজারেও একই অবস্থা। আপেল প্রতি কেজি ২০০ টাকা, বেদানা ২৫০-৩০০, নাসপাতি ১৫০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেয়ারা ও শশার দাম ৬০-৮০ টাকা এবং আনারসের দাম ১০০ টাকা। বাজারে এতো দাম বাড়লেও, ভাইয়ের পাতে পছন্দের খাবার তুলে দেওয়ার জন্য সকাল থেকেই ভিড় বাড়ছে।সবজি, মাছ, মাংসের পাশাপাশি মিষ্টির দোকানেও দীর্ঘ লাইন। সবাই চান এই বিশেষ দিনে ভাইয়ের জন্য সেরা খাবার তৈরি করতে। মিষ্টির দোকানে গিয়ে দেখা যায়, মোদক, রসগোল্লা, সন্দেশের জন্য ক্রেতাদের ভিড়। প্রত্যেকেই চাইছেন, ভাইফোঁটার দিনে ভাইয়ের মুখে হাসি ফোটাতে।

ভাইফোঁটা শুধু একটি উৎসব নয়, এটি ভাইবোনের অটুট বন্ধনের প্রতীক। এই দিনটি সবার জন্য বিশেষ, তাই সবাই চেষ্টা করছেন যাতে তাদের ভাইয়ের পাতে সেরা খাবার রাখতে পারেন। দাম যতই বাড়ুক, ভাইফোঁটার আনন্দ যেন কম না হয়, সেটাই এখন সকলের লক্ষ্য। এই দিনটিতে একসঙ্গে আড্ডা, হাসি-ঠাট্টা, এবং স্বাদে ভরা খাওয়ার মধ্য দিয়ে সব দুঃখ-বেদনা ভুলে যাওয়া। মনে রাখতে হবে, ভাইফোঁটার এই আনন্দের মাঝে ছড়িয়ে থাকবে ভালোবাসা, সম্প্রীতি এবং একতা।