অবশেষে কলকাতা ফুটবল লিগের (Calcutta Football League) ২০২৪ সালের শিরোপা জিতছে ইস্টবেঙ্গল। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সুপার সিক্স রাউন্ডের লড়াইয়ের পর এই শিরোপা ইস্টবেঙ্গল দখলে নিচ্ছে। বহু প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি হয়ে কাঁটা ছোঁড়ার খেলায় মাঠে গড়ায় লড়াই, যেখানে বেশ কয়েকটি ম্যাচ স্থগিত হওয়া বা বাতিল হওয়ার প্রভাবও পড়েছিল চূড়ান্ত ফলাফলে।
মহামেডানের সঙ্গে বিতর্কিত ড্র এবং ‘সন অফ সয়েল’ নিয়ম ভাঙার ঘটনা
২০ সেপ্টেম্বরের বিতর্কিত ম্যাচে মহামেডান স্পোর্টিং-এর সাথে ইস্টবেঙ্গলের ২-২ গোলে ড্র হয়। ম্যাচটিতে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে জেসিন টিকে দু’টি গোল করলেও মহামেডানের রিজার্ভ দল কঠোর লড়াই করে ড্রয়ে আটকায় লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। যদিও ম্যাচটি শেষ হওয়ার কয়েকদিন পরে জানা যায়, মহামেডান দল পশ্চিমবঙ্গের চারজন স্থানীয় খেলোয়াড় মাঠে নামাতে ব্যর্থ হয়েছে।
২০২৪ সালের সিএফএলে আইএফএ একটি নতুন নিয়ম প্রবর্তন করে যে, প্রতিটি দলের মাঠে চারজন করে ভূমিপুত্র খেলোয়াড় রাখতে হবে। এর উদ্দেশ্য ছিল রাজ্যের খেলোয়াড়দের জন্য বড় মঞ্চ তৈরি করা এবং বাইরের রাজ্যের খেলোয়াড়দের জন্য নির্ভরশীলতা কমানো।
আইএফএ-এর কঠোর পদক্ষেপ এবং শ্রাচী গ্রুপের চাপ
আইএফএ এই নিয়ম ভাঙার ঘটনা জানার পর মহামেডান স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে, ড্র-এর জন্য প্রাপ্ত এক পয়েন্ট কেড়ে নিয়ে তিন পয়েন্ট ইস্টবেঙ্গলের ঘরে তুলে দেয়। ফলে ইস্টবেঙ্গলের শিরোপার পথ আরও মসৃণ হয়ে যায়।
কিন্তু, এই সিদ্ধান্তের পরই আইএফএ-এর বিরুদ্ধে চিঠি পাঠায় শ্রাচী স্পোর্টস, যা মহামেডান স্পোর্টিং-এর বিনিয়োগকারী। শ্রাচী স্পোর্টস, আইএফএ-এর পার্টনারও, আইএফএ-কে হুমকি দেয় যে, মহামেডান স্পোর্টিং-কে তাদের কাজের ব্যাখ্যা দিতে সুযোগ না দিলে তাদের পার্টনারশিপেও প্রভাব পড়তে পারে।
পরিস্থিতির চাপ অনুভব করে, আইএফএ শেষ পর্যন্ত মহামেডান স্পোর্টিংকে বিষয়টি ব্যাখ্যা করার সুযোগ দেয় এবং তাদের উপর একটি ৫০,০০০ টাকার জরিমানা ধার্য করে। তবুও, এই সিদ্ধান্তের ফলে চূড়ান্ত শিরোপা দখলে ইস্টবেঙ্গলের উপর কোন প্রভাব পড়েনি এবং সিএফএল ২০২৪-এর শিরোপা তাদের ৪০তম চ্যাম্পিয়নশিপ হিসেবে স্বীকৃত হয়।
অভিযোগের পেছনের কাহিনী এবং মাঠের বাইরের চাপ
ইস্টবেঙ্গলের শিরোপা নিশ্চিতের পরই সিএফএলে নানা বিতর্ক দানা বাঁধে। ডায়মন্ড হারবার এফসি এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ২০২৪-এর সিএফএল অভিযান থেকে বেরিয়ে যায়। তারা আইএফএ-এর সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে এবং অভিযোগ তোলে যে ইস্টবেঙ্গলকে তিনটি ফ্রি পয়েন্ট দিয়ে শিরোপার পথে সুবিধা দেওয়া হয়েছে।