কালীপুজোর আগেই বিধ্বংসী আগুনের কোপে পড়ল কলকাতার প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের (Kolkata Fire Incident) একটি বস্তি। জানা যাচ্ছে, সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ সেখানকার একটি বস্তিতে আগুন লাগে। এলাকা ঘিঞ্জি হওয়ায় এবং সেইসঙ্গে আগুনের তীব্রতা বেশি হওয়ায় দ্রুত সেই বস্তির আশপাশের ঝুপড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বিধ্বংসী আগুনের মুখে পড়ে ছারখার হয়ে যায় সেই বস্তির বেশ কয়েকটি ঝুপড়ি।
এখনও পর্যন্ত জানা গেছে, ওই বস্তিতে একটি বাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে এই বিধ্বংসী আগুন লেগেছে। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন এক যুবক। বর্তমানে তাঁকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দমকল সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রায় দেড় ঘণ্টা প্রচেষ্টা করার পর শেষ পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছেন দমকলকর্মীরা।
দমকলের চেষ্টায় সাড়ে ৮টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানা গিয়েছে। আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিল দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও দমকল ও স্থানীয় কাউন্সিলরের ঘটনাস্থলে দেরিতে আসার জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, দমকল আগে পৌঁছলে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটা কমানো যেত।
স্থানীয় বাসিন্দারা দমকলের বিরুদ্ধে দেরিতে আসার অভিযোগ তুললেও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে দেওয়া হয়েছে দমকলের তরফ থেকে। সেইসঙ্গে স্থানীয়দের অভিযোগ যেখানে আগুন লেগেছে সেই ঘটনাস্থল গল্ফ গ্রিন নাকি চারু মার্কেট ঠিক কোন থানার আওতায় পড়বে, তা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ টালবাহানা চলে। অবশেষে লেক থানায় আগুনের খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল।
এ বিষয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে এলাকা নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ তোলা হয়েছে। যদিও এই অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে বলে পাল্টা দাবি করা হয়েছে ডিসির পক্ষ থেকে। তবে এই বিধ্বংসী আগুন লাগার পর কেন ঘটনাস্থলে আসেননি স্থানীয় কাউন্সিলর সেই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন এলাকার বাসিন্দারা। এমনকি তাঁকে বারবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা।
এই ঘটনার পরে সাড়ে তিন ঘন্টা বাদে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর। তবে এদিকে কলকাতা পুরসভার মেয়র দেবাশীষ কুমার জানিয়েছেন, সেই বস্তিতে যাঁদের বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে, তাদের আবার নতুন বাড়ি তৈরী করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে দুটি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার করা হয়েছে।