Israel-Iran War: ইজরায়েলি বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান ইরানে প্রবেশ করে হামলা চালায়। এই হামলায় প্রায় ২০টি সামরিক ঘাঁটিতে হামলার খবর পাওয়া গেছে। তবে ইরানের গোয়েন্দারা আগেই হামলার খবর পেয়েছিলেন। হামলার এক ঘণ্টার মধ্যেই রাশিয়া ইরানের গোয়েন্দাদের ইনপুট দিয়েছিল, তারপরও যা ঘটেছিল তা হল যে ইরানি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেবল আক্রমণ থামাতেই ব্যর্থ হয়নি, এমনকি তাদের থামাতেও পারেনি। হামলা চালানোর পর ইরানের রাডারে বন্দি না হয়েই সব ফাইটার জেট নিরাপদে তাদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে। আসলে এই হামলায় ইজরায়েল F-35 যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছিল। সর্বোপরি, এই ফাইটার জেটে এমন কী আছে যেটা রাডার খুঁজে বের করতে পারেনি? আসুন জেনে নিন এই ফাইটার জেট সম্পর্কে।
F-35 ফাইটার জেটটি আমেরিকান কোম্পানি লকহিড মার্টিন দ্বারা ডিজাইন করা এবং তৈরি করা পঞ্চম প্রজন্মের। এটি একটি একক আসন এবং একক ইঞ্জিনের স্টিলথ ফাইটার বিমান। ইজরায়েল 2010 সালে আমেরিকার সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল, যার প্রথম চালান 2016 সালে বিতরণ করা হয়েছিল।
ইজরায়েলি F-35 সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-
প্রধান বৈশিষ্ট্য:
- স্টিলথ ক্ষমতা: F-35 এর একটি রাডার পর্যবেক্ষণ সিস্টেম রয়েছে। এটি রাডারকে ফাঁকি দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এটি রাডারের ক্রস-সেকশনকে হ্রাস করে, এটি সনাক্ত করা কঠিন করে তোলে।
- অ্যাডভান্সড সেন্সর: এই ফাইটার জেটটি উন্নত সেন্সর সহ রাডার, ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল এবং ইনফ্রারেড সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত।
- অস্ত্র বহন ক্ষমতা: F-35 ফাইটার জেট আকাশ থেকে আকাশে এবং আকাশ থেকে মাটিতে ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি বোমা এবং নির্দেশিত যুদ্ধাস্ত্র বহন করতে সক্ষম।
- উন্নত মেশিন: ফাইটার জেট উন্নত মেশিন দিয়ে সজ্জিত করা হয়। এছাড়াও রয়েছে হেলমেট-মাউন্টেড ডিসপ্লে সিস্টেম এবং উন্নত পাইলট ইন্টারফেস।
- ইঞ্জিন: F-35 একটি Pratt & Whitney F135 ইঞ্জিন দ্বারা চালিত।
ক্ষমতা এবং মিশন
- বায়ু শ্রেষ্ঠত্ব: F-35 ইজরায়েলকে উন্নত শক্তি প্রদান করে।
- স্ট্রাইক মিশন: এই ফাইটার জেট নির্ভুলতার সাথে স্থল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে।
- গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের দক্ষতা: F-35 এর উন্নত সেন্সর এটিকে রিয়েল-টাইম বুদ্ধি সংগ্রহ করতে সক্ষম করে।
- অন্যান্য সম্পদের সাথে একীকরণ: F-35 অন্যান্য ইজরায়েলি সামরিক সম্পদের সাথে একীভূত হতে পারে, যেমন ড্রোন এবং গ্রাউন্ড স্টেশন।