উত্তর ভারতের কাছে হেরে যাব, জনসংখ্যা বাড়াও, নির্দেশ স্টালিন-নাইডুর

জনসংখ্যা কমানোর জন্য যখন একদিকে সক্রিয় হচ্ছে কেন্দ্র, তখন উল্টো পথে হেঁটে জনসংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান জানালেন দক্ষিণের দুই নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু (Chandra babu Naidu) ও…

South indian leaders stalin and Naidu wants popupation increase for political reason

জনসংখ্যা কমানোর জন্য যখন একদিকে সক্রিয় হচ্ছে কেন্দ্র, তখন উল্টো পথে হেঁটে জনসংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান জানালেন দক্ষিণের দুই নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু (Chandra babu Naidu) ও এমকে স্ট্যালিন। গত বাজেটে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও চরিত্র গঠনের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তাঁর সরকারের জোটসঙ্গী তথা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবুর মুখে জনসংখ্যা বাড়ানোর কথা অস্বস্তিতে ফেলেছে মোদী সরকারকে (Narendra Modi)। 

‘ডানা’-র চোখ রাঙানি সামলাতে ১৫১টি ট্রেন বাতিলের ঘোষণা করল রেল

   

কারণ দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে জনসংখ্যার হার যেভাবে কমছে, তাতে আগামী দশ বছরের মধ্যেই অন্ধ্র, তামিলনাডু, তেলেঙ্গানা ও কেরলের মতো রাজ্যে বয়ষ্কদের সংখ্যা বাড়তে চলেছে। এরফলে আগামীতে ওই রাজ্যগুলিতে লোকসভার আসন সংখ্যাও কমতে পারে বলে মনে করছেন দক্ষিণের নেতারা।

 

মমতার বক্তব্যে সিলমোহর হাই কোর্টের, স্থগিত হল ৫১ জন ডাক্তারের সাসপেনশন

দক্ষিণের দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই নতুন অবস্থানে মোদী সরকার দু’বছর পরে লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস হলে যে উত্তর বনাম দক্ষিণ ভারতের বিবাদের আশঙ্কা করছিল, এখনই সেই বিতর্কের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারণ, ২০২১-এর জনগণনা এখনও হয়নি। তা হলে ২০২৬-এর পরে সেই জনগণনা অনুযায়ী, লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস হওয়ার কথা। সরকারি অনুমান, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের মতো হিন্দি বলয়ের রাজ্যগুলির তুলনায় দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে অনেক ভাল কাজ করেছে। 

সহপাঠীর নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, অশ্লীল মেসেজ, মানসিক চাপে আত্মঘাতী ছাত্রী

এখন নতুন জনসংখ্যা অনুযায়ী, লোকসভার আসন ৫৪৩ থেকে বাড়িয়ে ৮৪৮ করা হতে পারে। যারফলে উত্তরপ্রদেশের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৮০ থেকে ১২৮ ও বিহারের মতো রাজ্যের আসন সংখ্যা বেড়ে হবে ৪০ থেকে ৮০। অন্যদিকে, কেরলের আসন সংখ্যা কমে দাঁড়াবে ২০ থেকে ১৯ এবং অন্যান্য দক্ষিণী রাজ্যগুলিরও আসন সংখ্যা কমবে। শুধু ভোটে আসন সংখ্যাই কম নয়, এরফলে আর্থিক বরাদ্দের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে পড়বে দক্ষিণের রাজ্যগুলি। স্বাস্থ্য-শিক্ষা খাতে বঞ্চিত হবে দক্ষিণীরা।

এই বিষয়ে প্রাক্তন স্বাস্থ্য সচিব শৈলেজা চন্দ্রের যুক্তি, দক্ষিণের রাজ্যগুলি দীর্ঘদিন ধরেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এখন জনসংখ্যা বাড়াতে উৎসাহিত করা যায় না।