আইনি জটিলতায় আনোয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়, রঞ্জিত বাজাজের পোস্ট কীসের ইঙ্গিত

ইস্টবেঙ্গলের আনোয়ার আলির (Anwar Ali) ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। গতকাল রঞ্জিত বাজাজের (Ranjit Bajaj) করা এক পোস্ট ফুটবল মহলে ইতিমধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।…

Ranjit Bajaj share post on Anwar Ali

ইস্টবেঙ্গলের আনোয়ার আলির (Anwar Ali) ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। গতকাল রঞ্জিত বাজাজের (Ranjit Bajaj) করা এক পোস্ট ফুটবল মহলে ইতিমধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। যা নিয়ে ফের তৈরি হল আইনি জটিলতা। কলকাতা ডার্বির আগে ১৪ অক্টোবর আনোয়ারকে নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও সেদিন এই শুনানি স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। ফলে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে নামার কোন বাধা ছিল না। পরবর্তী শুনানির হওয়ার কথা ছিল ২৩ অক্টোবর। তবে যে প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি আনোয়ারের শাস্তির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে, সেই কমিটির (AIFF Appeals Disciplinary Committee) বৈধতা নিয়ে এবার উঠল প্রশ্ন। ফলে বিতর্কের জন্য আনোয়ার মামলার শুনানি আবারও ঝুলে গেল বলে ইঙ্গিত মিলছে।

দুঃসংবাদ ভারতীয় ক্রীড়াজগতে! কমনওয়েলথ থেকে সরছে ক্রিকেট,হকি সহ একাধিক ইভেন্ট

   

এই আইনি জটিলতার মূল কারণ হচ্ছে প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির বৈধতা। রঞ্জিত বাজাজ কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে লিখেছেন, গত ২০ জুলাই ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটির সভায় তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত জেনারেল সম্পাদক সত্য নারায়ণ স্পষ্টভাবে বলেন যে, বর্তমান সভাপতি কল্যাণ চৌবে এবং কার্যকরী কমিটির সদস্যদের সম্মতি ছাড়াই সাজি প্রভাকরণ পূর্বে এই কমিটিগুলো গঠন করেছেন। ফলে, কমিটিগুলোর কোনও আইনি ভিত্তি নেই এবং তাঁদের দ্বারা যে শাস্তি এবং জরিমানা আরোপ করা হয়েছে, তা বৈধ নয়।


তবে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, এই কমিটিগুলো বিভিন্ন ক্লাবকে শাস্তি দেওয়ার কাজ করছে। দিল্লি এফসি, ইস্টবেঙ্গল এবং কেরালা ব্লাস্টার্স-সহ প্রায় ২০০টি ক্লাবের বিরুদ্ধে এই বেআইনি কমিটির মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। এর ফলে, ফুটবল মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। দিল্লি হাইকোর্টও এই পরিস্থিতি দেখে ফেডারেশনকে নির্দেশ দিয়েছে যে,এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদালতে পেশ করতে। আনোয়ার আলি সম্প্রতি চার মাসের নির্বাসনের শাস্তি পেয়েছিলেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশে সেই রায় স্থগিত হয়ে যায়।

ভারতীয় ফুটবলকে নতুন দিশা দেখাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন কোচ

এই অবস্থায়, ফুটবল প্রেমী এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তাঁরা ভাবছেন, যদি আনোয়ারের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হয়, তাহলে তার ক্যারিয়ার কিভাবে প্রভাবিত হবে। আনোয়ার যে সমস্ত ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, সেই ক্লাবগুলোও এখন অনিশ্চিততায় আছে। যদি আনোয়ারের শাস্তি বহাল থাকে, তাহলে ইস্টবেঙ্গল এবং অন্যান্য ক্লাবের উপরও এর প্রভাব পড়তে পারে।

ম্যাচ হারলেও পন্থ-সরফরাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ গাভাস্কার

ফুটবলে আইনি জটিলতা কোনো নতুন বিষয় নয়। তবে এই পরিস্থিতি ফুটবল প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে বাধ্য করছে। খেলার মাঠে যদি খেলোয়াড়দের শাস্তির প্রয়োজন হয়, তাহলে সেটি অবশ্যই সঠিকভাবে এবং আইনানুগভাবে হওয়া উচিত। কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে আইনি ও প্রশাসনিক কার্যকলাপের মধ্যে ব্যাপক দ্বন্দ্ব দেখা যাচ্ছে।

ওড়িশা থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দূরে নিম্নচাপ, মঙ্গলবার কোথায় রয়েছে ‘দানা’-র অবস্থান?

শুধু আনোয়ার আলির বিষয় নয়, এই ঘটনা ফুটবলের আইনি কাঠামোকে আবারও সামনে এনেছে। ক্লাবগুলোর উপর শাস্তির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বৈধতা থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি কমিটি বৈধ না হয়, তাহলে এর দ্বারা দেওয়া শাস্তি কীভাবে কার্যকর হবে, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।ফুটবল প্রেমীরা আশা করছেন, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।