ইরানে ইজরায়েলের হামলার জন্য ব্লু প্রিন্ট প্রস্তুত, কোন অবস্থানগুলো টার্গেট হবে?

Israel Iran War: আরও বারুদের গন্ধ মধ্যপ্রাচ্যের বাতাসে ভেসে উঠবে। ইজরায়েলের প্রতিহিংসাপরায়ণ অভিপ্রায় দ্বারা এটি নিশ্চিত করা হচ্ছে। গত ১ অক্টোবর ইরান প্রায় ১৮০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র…

Israel Iran conflict

Israel Iran War: আরও বারুদের গন্ধ মধ্যপ্রাচ্যের বাতাসে ভেসে উঠবে। ইজরায়েলের প্রতিহিংসাপরায়ণ অভিপ্রায় দ্বারা এটি নিশ্চিত করা হচ্ছে। গত ১ অক্টোবর ইরান প্রায় ১৮০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। তারপর থেকে ইজরায়েল ইরানকে পাঠ শেখানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইরানের ওপর বড় ধরনের হামলা চালাতে যাচ্ছে ইজরায়েল। ইজরায়েল এর নীলনকশা (blue print) একে ফেলেছে। ইরানের তেল ও পরমাণু স্থাপনাকে টার্গেট করতে পারে ইজরায়েল। হামলা চালানোর জন্য আমেরিকার সঙ্গে কথা বলছে।

গত ১ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলার পর ইরান বলেছিল, এই হামলা হিজবুল্লা ও হামাস নেতা এবং বিপ্লবী গার্ডের একজন কমান্ডার হত্যার প্রতিশোধ। ইজরায়েলের পরিকল্পনা নিয়ে যে সর্বশেষ তথ্য বেরিয়ে এসেছে তা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য খুবই উদ্বেগজনক। KAN নিউজের সাথে আলাপকালে একজন কর্মকর্তা বলেন, ইজরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে বড় ধরনের হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

   

তবে এই কর্মকর্তা ইজরায়েলের টার্গেট সম্পর্কে কোনো তথ্য দেননি। ইরানের হামলার পর থেকে ইজরায়েল তার মিত্র আমেরিকার সাথে ক্রমাগত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। কাকে, কখন কোথায় টার্গেট করা হবে তা নিয়ে ইরানে আলোচনা চলছে। এ হামলার পর ইরান কী করবে এবং কোথায় হামলা করতে পারে তা নিয়েও আলোচনা চলছে।

গতকাল ইজরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছিল যে সম্ভাব্য ইরানি আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইজরায়েলে একটি থাড ব্যাটারি মোতায়েন করেছে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে বাধা দিতে। THAAD আসার আগে ইজরায়েল তিনটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল ছিল। এতে রয়েছে অ্যারো, ডেভিড স্লিং এবং আয়রন ডোম। ডেভিড স্লিং মিডল রেঞ্জ এবং আয়রন ডোম পাল্টা এবং স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এখন পর্যন্ত এই তিনটিই ইজরায়েলে হামলায় বড় ভূমিকা রেখেছে। এই প্রতিরক্ষা ঢালের কারণেই ইজরায়েল তার শত্রুর তুলনায় অনেক কম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

ইজরায়েলি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে ধারণা করা হচ্ছে, ইজরায়েল ইরানের তেল ও পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে। অন্যদিকে, তেহরানও প্রতিশোধমূলক হামলার জন্য প্রস্তুত। তারা জানিয়েছে ১লা অক্টোবরের হামলার জবাবে ইজরায়েল হামলা চালালে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।