হার্ট সার্জারির পর ফিরেই শতক হাঁকালেন ধুল

একদা ক্রিকেট জগতের কিংবদন্তি ব্যাটার স্যার ভিভ রিচার্ডসকে তাঁর খারাপ সময় কাটিয়ে ফের রানে ফেরা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “জীবন আপনাকে দ্বিতীয়বার কোনো…

Yash Dhul Scores Century

একদা ক্রিকেট জগতের কিংবদন্তি ব্যাটার স্যার ভিভ রিচার্ডসকে তাঁর খারাপ সময় কাটিয়ে ফের রানে ফেরা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “জীবন আপনাকে দ্বিতীয়বার কোনো সুযোগ দিলে সেটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই গ্রহণ করা উচিত।” বর্তমান ক্রিকেট জগতে বোলার মহম্মদ আমির থেকে হালফিলের ব্যাটস্ ম্যান ঋষভ পন্থ – সকলের ক্ষেত্রেই এই কথাটি প্রযোজ্য। এবার এই তালিকায় নিজেকে যুক্ত করলেন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী তারকা ইয়াশ ধুল (Yash Dhull)। গতকাল রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করে ধুঁকতে থাকা দিল্লিকে ম্যাচে ফেরান তিনি। উল্লেখ্য, বেশ কিছুমাস আগেই হার্টের অস্ত্রপ্রচার হয়েছিল তাঁর।

দিল্লির প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান যশ ধুল রবিবার রঞ্জি ট্রফিতে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করে দেখিয়েছেন তাঁর প্রতিশ্রুতি ও সংকল্প। এই সেঞ্চুরিটি তাঁর জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ছিল তাঁর জুলাই মাসে হওয়া হার্ট সার্জারির পর প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ইনিংস।

   

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে শুক্রবার(১৮ অক্টোবর ) টস জিতেও বল হাতে সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি দিল্লির বোলাররা। তামিলনাড়ুর হয়ে সাই সুদর্শন ২১৩ এবং ওয়াশিংটন সুন্দর ১৫০ রান করেন। এই দুই জুটির সৌজন্যেই দিল্লির বিরুদ্ধে ৬১৪ রানের পর্বতসম লক্ষ্য খাড়া করে তামিলনাড়ু দল।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ধুল ১০৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে ২৬৪ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলকে ম্যাচে ফেরত আনেন। এদিন ইনিংস শেষে যশ বলেছেন, “এটি আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ইনিংস, কারণ এটি সার্জারির পর। আমি যখন মাঠে ফিরলাম, এটি আমাকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছে।”

যশের সার্জারির বিষয়টি ছিল একটি “মাইনর” জন্মগত সমস্যা, যা যদি সময়মতো চিকিৎসা করা না হতো, তাহলে পরে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারত। তিনি জানান, “এটি জন্মগত সমস্যা। সাধারণত এই ধরনের সার্জারি জন্মের পরই হয়। আমার ক্ষেত্রে এটি অনেক দেরিতে হয়েছে, কিন্তু এখন আমি মাঠে ফিরে এসে সত্যিই খুশি।”

যশ ধুল বলছেন যে তিনি যখন ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে ছিলেন, তখনই এই সমস্যার ব্যাপারে জানতে পারেন। তিনি বলেন, “মাঠে ফিরে আসা আমার জন্য খুবই আনন্দের। এটি জীবন, কিছু না কিছু ঘটেই চলে।”

এটি ধুলের জন্য তাঁর ২৫তম প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ এবং এটি ছিল তাঁর ষষ্ঠ শতক। তিনি আরও বলেন, “আমি আমার ব্যাটিংয়ে কোনও পরিবর্তন করিনি। আমি সবসময় যা করেছি তাতেই মনোযোগ দিচ্ছি এবং বিশ্বাস রাখছি।”

একদিন বাকি থাকা এই ম্যাচে, দিল্লি এখন তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে লিড ধরে রাখার চেষ্টা করবে। যশের এই পারফরম্যান্স কেবল তার ব্যক্তিগত সাফল্যই নয়, দলের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, কারণ এটি দলকে শক্তিশালীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে