কেরালা ব্লাস্টার্সের বিপক্ষে এগিয়ে থেকে ও হার মহামেডানের

কাজে এল না মিরজালল কাসিমভের গোল আইএসএলে ফের পরাজিত হল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব (Mohammedan SC)। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রবিবার সন্ধ্যায় কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে নিজেদের…

short-samachar

কাজে এল না মিরজালল কাসিমভের গোল আইএসএলে ফের পরাজিত হল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব (Mohammedan SC)। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রবিবার সন্ধ্যায় কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল কলকাতা ময়দানের এই তৃতীয় প্রধান। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল মিকেল স্ট্যাহরের কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি‌ (Kerala Blasters)।  সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ২-১ গোলের ব্যবধানে সাদা-কালো ব্রিগেডকে পরাজিত করে দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাব। এদিন মহামেডান দলের হয়ে একটিমাত্র গোল করেন কাসিমভ।

   

অন্যদিকে কেরালা দলের হয়ে গোল করেন যথাক্রমে কোয়ামি পেপরা এবং জেসুস জেমিনেজ। উল্লেখ্য ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ধরা দেয় সাদা-কালো ব্রিগেড। সময় এগোনোর সাথে সাথেই প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে চাপ বাড়াতে শুরু করেন অ্যালেক্সিস গোমেজ থেকে শুরু করে কার্লোস ফ্রাঙ্কারা। যা সামাল দিতে কার্যত নিজেহাল পরিস্থিতি দেখা দেয় আলেকজান্ডার কোয়েফ থেকে শুরু করে প্রীতম কোটালদের। এসবের মাঝেই ম্যাচের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে পেনাল্টি আদায় করে নেয় মহামেডান।

২৮ মিনিটের মাথায় সেখান থেকেই গোল করে যান উজবেকিস্তানের সেই তারকা মিডফিল্ডার। তারপর থেকে আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল ব্ল্যাক প্যান্থার্সরা। কিন্তু সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। জোসেফ আদজেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ার পর থেকেই ঝাঁঝ কমতে থাকে সাদা-কালো শিবিরের। তবে প্রথমার্ধের শেষে ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়েছিল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ম্যাচ শুরু হতেই চাপ বাড়াতে থাকে কেরালা ব্লাস্টার্স। তারপর ৬৭ মিনিটের মাথায় কোয়ামি পেপড়ার গোলে সমতায় ফেরে আদ্রিয়ান লুনারা।

তারপর থেকেই চাপ বাড়াতে শুরু করে মিকেল স্ট্যাহরের ছেলেরা। কিন্তু বারংবার আটকে যেতে হয় সাদা-কালো রক্ষণে। তবে ৭৫ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন জেসুস জেমিনেজ। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানেই আসে জয়। তবে এদিন ম্যাচের বয়স বাড়ার সাথে সাথেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা স্টেডিয়াম।‌ কেরালা ব্লাস্টার্সের সমর্থকদের দিকে দিকে বোতল ছুড়তে শুরু করে সাদা-কালো জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে গ্যালারির দিকে এগিয়ে যেতে হয় দুই দলের ফুটবলারদের। যারফলে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে ম্যাচ। তারপর ফের শুরু হয় খেলা। শেষ পর্যন্ত এক গোলের ব্যবধানে জয় সুনিশ্চিত করে কেরালা।