মোহনবাগানের ডার্বি জয়ে ‘বিশাল’ আবেগে ভাসছেন কাইথ

শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অনুষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী কলকাতা ডার্বিতে মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্টের দুর্দান্ত জয় নিয়ে গর্বিত গোলরক্ষক বিশাল কাইথ (Vishal Kaith)। ম্যাচের পর রবিাবার সন্ধ্যায়…

Vishal Kaith Credits Fans for Unforgettable Kolkata Derby Win

শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অনুষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী কলকাতা ডার্বিতে মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্টের দুর্দান্ত জয় নিয়ে গর্বিত গোলরক্ষক বিশাল কাইথ (Vishal Kaith)। ম্যাচের পর রবিাবার সন্ধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাইথ তাঁর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং সমর্থকদের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “ডার্বি জয়ের অনুভূতি সবসময়ই বিশেষ, এবং গতকালের জয়ও আলাদা ছিল না! এই জয় আমাদের সকলের জন্য এক অবিস্মরণীয় স্মৃতি হয়ে থাকবে।” মোহনবাগানের এই জয়ে ভক্তদের সমর্থনকেই দলের সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

শনিবারের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয়লাভ করে মোহনবাগান, যেখানে বিশাল কাইথ তাঁর দুর্দান্ত গোলকিপিং দক্ষতা দিয়ে দলকে নিরাপদ রাখেন। প্রতিটি আক্রমণ প্রতিহত করে তিনি দলের রক্ষণভাগের স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেন। মোহনবাগানের ভক্তদের এই জয়ের পিছনে তাদের অটুট সমর্থনকে উৎসর্গ করে বিশাল কাইথ আরও বলেন, “ভক্তদের উৎসাহ ও ভালোবাসা আমাদের খেলার শক্তি বাড়িয়ে দেয়।”

   

কলকাতা ডার্বি শুধুমাত্র একটি ফুটবল ম্যাচ নয়, বরং বাঙালির ফুটবল আবেগের প্রতীক। এই ম্যাচে দুই ঐতিহ্যবাহী দল মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি হয়, এবং সেই ম্যাচে জয়লাভ করা মানে ফুটবল সমর্থকদের কাছে এক বিশাল অর্জন। ডার্বির উত্তেজনা শুরু থেকেই স্পষ্ট ছিল, এবং মোহনবাগানের খেলোয়াড়রা তাদের সেরাটা দিয়েই মাঠে নেমেছিলেন। প্রথমার্ধে মোহনবাগানের আক্রমণাত্মক খেলা এবং মাঝমাঠের দক্ষ নিয়ন্ত্রণ ইস্টবেঙ্গলকে কোণঠাসা করে দেয়। ম্যাচের ৩০ মিনিটের মাথায় প্রথম গোলটি আসে মোহনবাগানের ফরোয়ার্ডের পায়ে, যা পুরো স্টেডিয়ামে আনন্দের ঢেউ তুলেছিল।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগানের রক্ষণভাগ আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে, যেখানে বিশাল কাইথের অসাধারণ প্রতিরোধের কারণে ইস্টবেঙ্গল একাধিক গোলের সুযোগ মিস করে। কাইথের একাগ্রতা ও সামর্থ্য তাকে ম্যাচের অন্যতম নায়ক করে তুলেছিল। দ্বিতীয় গোলটি ম্যাচের ৭০তম মিনিটে আসে, যা কার্যত ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করে দেয়।

ম্যাচ শেষে কাইথ নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, “এই ধরনের জয় আমাদের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। ভক্তদের সমর্থন আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাদের ভালোবাসা ছাড়া এই জয় অসম্ভব ছিল।” কাইথ আরও বলেন, “এবারের ডার্বি শুধু মাঠের ভেতরের খেলা নয়, মাঠের বাইরে ভক্তদের চিৎকার, উচ্ছ্বাস এবং তাদের ভালোবাসার প্রতিফলন।”

মোহনবাগান দলের সাম্প্রতিক সময়ের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেখিয়েছে যে তারা কেবল দলগত দক্ষতায় নয়, বরং মানসিকভাবে শক্তিশালী একটি দল। দলের কোচিং স্টাফ এবং খেলোয়াড়রা একে অপরের প্রতি যে বিশ্বাস স্থাপন করেছেন, তা মাঠে পরিষ্কার ভাবে ফুটে উঠেছে। দলের কৌশলগত মেজাজ এবং পরিকল্পনা এই জয়ের অন্যতম মূল কারণ বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

ডার্বি জয় শুধু একটি ম্যাচ জয় নয়, বরং এটি মোহনবাগানের জন্য মর্যাদার প্রতীক। কলকাতা ফুটবল মহলে মোহনবাগানের এমন জয় তাদের সমর্থকদের গর্বিত করেছে এবং দলকে আরও দৃঢ় করেছে। বিশাল কাইথের মত খেলোয়াড়দের সাফল্য দলকে আগামী ম্যাচগুলিতে আরও ভালো করার প্রেরণা যোগাবে।

ম্যাচের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশাল কাইথের পোস্টটি মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়, যেখানে সমর্থকরা তাঁকে অভিনন্দন জানান এবং তাঁর প্রতি তাঁদের ভালবাসা প্রকাশ করেন। মোহনবাগানের এই জয়ের পর দলের খেলোয়াড়দের জন্য বিভিন্ন স্তরে প্রশংসার ঝড় উঠেছে, এবং এই জয় তাদের সমর্থকদের কাছে এক বিশেষ উপহার হয়ে থাকবে।

মোহনবাগানের সাম্প্রতিক ফর্ম তাদের আইএসএল (ইন্ডিয়ান সুপার লিগ) শিরোপার পথে আরও এগিয়ে দিচ্ছে বলে মনে করছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। ডার্বির এই জয় শুধু তাদের পয়েন্ট টেবিলের অবস্থানকেই শক্তিশালী করেনি, বরং তাদের মনোবলও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশাল কাইথের মতো খেলোয়াড়রা দলের রক্ষণের ভিত্তি শক্তিশালী করে তুলছেন, যা তাদের প্রতিটি ম্যাচে প্রতিপক্ষের আক্রমণকে প্রতিহত করতে সাহায্য করছে।
সর্বোপরি, কলকাতা ডার্বির এই স্মরণীয় জয় মোহনবাগান ভক্তদের জন্য এক অমূল্য মুহূর্ত হিসেবে থেকে যাবে, এবং বিশাল কাইথের মতো খেলোয়াড়রা এই জয়ের নায়ক হিসেবে জ্বলজ্বল করবেন।