রাজ্য অচল হবে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সরানোর দাবি, মোদীকে চিঠি সরকারপক্ষ বিধায়কদের

রাজ্যে শান্তি নেই। অচল হয়ে যাবে প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী কিছু করতে পারছেন না। এমনই একরাশ অভিযোগ এনে সরকারপক্ষের বিধায়করা চিঠি পাঠিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে! বিদ্রোহী বিধায়কদের…

PM Modi Apologise On Shivaji Statue Collapse, শিবাজি মূর্তি ভাঙার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

রাজ্যে শান্তি নেই। অচল হয়ে যাবে প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী কিছু করতে পারছেন না। এমনই একরাশ অভিযোগ এনে সরকারপক্ষের বিধায়করা চিঠি পাঠিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে! বিদ্রোহী বিধায়কদের আশা দ্রুত সরানো হবে মুখ্যমন্ত্রীকে।

বিধায়কদল বনাম মুখ্যমন্ত্রীর অভ্যন্তরীণ সংঘাত এতটাই প্রবল যে সরকার ভেঙে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি। গুঞ্জন, আস্থা ভোট হলে সরকার পক্ষের বিধায়করা ভোটবাক্সেই ক্ষোভ উগরে দেবেন।

   

বিজেপি শাসিত রাজ্য মণিপুরের এমনই পরিস্থিতি। জাতি সংঘর্ষে রক্তাক্ত এ রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপির বিধায়করা দুই যুযুধান জাতি মেইতেই ও কুকি-তে বিভক্ত। রাজ্যে ফের জাতি সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।

ফের উত্তপ্ত মণিপুরের জিরিবাম জেলা। এখানে লড়াই চলছে। শনিবার পুলিশ ও সিআরপিএফ জওয়ানদের সম্মিলিত আক্রমণে হামলাকারীরা পালায়। জিরিবামের একাংশে বাঙালি অধ্যুষিত। অভিযোগ, বিজেপির শাসনে মণিপুরে বসবাসকারী বাঙালিদের উচ্ছেদ করার হুমকি বাড়ছে। পড়শি রাজ্য অসমের বাঙালি অধ্যুষিত কাছাড় জেলায় আশ্রয় নিয়েছেন বহু ঘরছাড়া।

মণিপুরে জাতি সংঘর্ষে মেইতেই ও কুকিরা যেমন জড়িত। তেমনই আরও কিছু গোষ্ঠী এই সংঘর্ষে নেমেছেন। বিরোধী দল কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি সরকার গৃহযুদ্ধ পরিবেশ তৈরি করেছে। মণিপুর শান্ত হচ্ছে দাবি করা প্রধানমন্ত্রী মোদী কেন এ রাজ্য সফর করছেন না প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস।

এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বীরেন সিংকে সরাতে  শাসক বিজেপি দলের ১৯ জন বিধায়ক প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। এই তালিকায় রয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। গত ১৫ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উদ্যেগে রাজ্যের তিন জনগোষ্ঠীর বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক হয়। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী শক্তি চাঙ্গা।

বিদ্রোহী বিধায়করা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে বলেছেন, বীরেন সিংয়ের জন্য রাজ্যে হিংস্যা বন্ধ হচ্ছে না। এতে মণিপুরের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়ংকরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। দলের নেতাকর্মীদের মানুষের কাছে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ধীরেন সিংকে পদ থেকে সরালে রাজ্যের পরিস্থিতি যেমন স্বাভাবিক হবে, একইসঙ্গে দলের গৌরব ফিরে আনা সম্ভব হবে।

ইস্তফা দিতে রাজি নন বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। তিনি দাবি করেন দলের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।