মোহনবাগান ক্লাবের ডার্বি জয়ে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার অভিনন্দন

কলকাতা, ২০ অক্টোবর: শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অনুষ্ঠিত কলকাতা ডার্বিতে ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal) ২-০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। এই ম্যাচে…

Chairman Sanjiv Goenka Congratulates Players

কলকাতা, ২০ অক্টোবর: শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অনুষ্ঠিত কলকাতা ডার্বিতে ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal) ২-০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। এই ম্যাচে ক্লাবের চেয়ারম্যান ড. সঞ্জীব গোয়েঙ্কা (Sanjiv Goenka) উপস্থিত ছিলেন এবং ম্যাচ শেষে তিনি খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানান।

ম্যাচের সারসংক্ষেপ
ম্যাচের শুরু থেকেই মোহনবাগান তাদের খেলার গতিময়তা ধরে রাখতে সক্ষম হয়। প্রথমার্ধের ২০ মিনিটের মধ্যে, জেমি ম্যাকলারেন দলের পক্ষে প্রথম গোলটি করেন। এটি ছিল একটি দক্ষ ফিনিশিং, যা মাঠে উপস্থিত সমর্থকদের উল্লাসিত করে তোলে। ৬০ মিনিটের সময় দিমিত্রি পেত্রাতোস দ্বিতীয় গোলটি করে মোহনবাগানকে জয় নিশ্চিত করে।

   

এই জয়টি মোহনবাগানের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে, কারণ এটি কলকাতা ডার্বিতে তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটায়। খেলোয়াড়দের মধ্যে দৃঢ় সমন্বয় এবং আক্রমণাত্মক কৌশল দেখে বোঝা যায় যে তারা পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল।

সঞ্জীব গোয়েঙ্কার উপস্থিতি
ম্যাচের পর সঞ্জীব গোয়েঙ্কা খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভিনন্দন জানান। তিনি মাঠে দাঁড়িয়ে করমর্দন করেন এবং উজ্জীবিতভাবে বলেন, “আপনারা অসাধারণ খেলেছেন। এই জয়ের জন্য আপনাদের পরিশ্রম এবং একাগ্রতা সত্যিই প্রশংসনীয়।”

গোয়েঙ্কার উত্সাহপূর্ণ বক্তব্যের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের মধ্যে ইতিবাচকতা সৃষ্টি হয়। তিনি ম্যাচের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে বলেন, “ডার্বি জয়ের গুরুত্ব কেবল পয়েন্টের ক্ষেত্রে নয়, বরং আমাদের ক্লাবের ইতিহাস ও সমর্থকদের কাছে এই জয় মানসিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স
ম্যাচের পর অধিনায়ক শুভাশিস বসু এবং গোলদাতা জেমি ম্যাকলারেন উভয়েই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। বসু বলেন, “ডার্বি ম্যাচ জিততে পারা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। দলের প্রত্যেক খেলোয়াড় নিজেদের সেরাটা দিয়েছেন এবং আমরা সামনের দিকে তাকিয়ে আছি।”

জেমি ম্যাকলারেন বলেন, “এটি একটি স্মরণীয় ম্যাচ ছিল। প্রথম গোলটি করা সবসময় বিশেষ কিছু।” তিনি তাঁর গোলের জন্য সতীর্থদের প্রশংসা করেন এবং বলেন, “দলগত প্রচেষ্টা ছাড়া এই জয় সম্ভব হতো না।”

ম্যাচের উন্নতি নিয়ে কোচ জোসে মোলিনার কৌশলও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। মোলিনা খেলোয়াড়দের কৌশলগতভাবে সাজানোর পাশাপাশি মানসিক দিক থেকেও তাঁদের প্রস্তুত করেন।

সমর্থকদের উচ্ছ্বাস
মোহনবাগানের সমর্থকরা আনন্দে মেতে ওঠেন। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের বাইরে ক্লাবের পতাকা উত্তোলন করে তাঁরা স্লোগান দেন এবং খুশির সঙ্গে উল্লাস করেন। তাঁদের উচ্ছ্বাস ম্যাচের মুহূর্তকে আরও অর্থবহ করে তোলে।
ম্যাচ শেষে সোশ্যাল মিডিয়াতেও সমর্থকরা জয় উদযাপন করে পোস্ট করেন। অনেকেই তাঁদের অনুভূতি শেয়ার করেন, যা মোহনবাগান ক্লাবের প্রতি তাঁদের ভক্তির নিদর্শন।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
ড. সঞ্জীব গোয়েঙ্কা ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন এবং বলেন, “আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছি। আমাদের লক্ষ্য হলো এই মৌসুমে শীর্ষে থেকে লিগ শিল্ড জয় করা।”
নতুন মৌসুমের দিকে তাকিয়ে ক্লাবটি নিজেদের উন্নতির জন্য কাজ করছে। সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে এবং ক্লাবের ঐতিহ্য রক্ষা করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের ডার্বি জয়ে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার নেতৃত্ব এবং সমর্থকদের উৎসাহিত অংশগ্রহণ ক্লাবের ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদী। ডার্বির জয় শুধুমাত্র একটি ম্যাচের ফলাফল নয়, বরং এটি ক্লাবের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং সমর্থকদের মধ্যে গর্বের একটি নতুন অধ্যায়।

মোহনবাগান ক্লাবের সমর্থকদের জন্য এই জয় কেবল একটি খেলার ফল নয়, বরং ক্লাবের ভবিষ্যতের সাফল্যের প্রতীক। খেলোয়াড়রা এবং ক্লাব কর্তৃপক্ষ সবাই মিলে একটি নতুন দিগন্তের দিকে এগিয়ে চলেছে।