আরজি করের প্রতিবাদ ও বিচারসহ সাত দফা দাবিতে ধর্ণায় বসল যাদবপুর

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র চিকিৎসকরা তাঁদের নিরাপত্তা সহ ১০ দফা দাবিতে অনড় থেকে লাগাতার আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। এবার সেই পথে হাঁটল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়…

Protest by RG Kar with Seven Demands Including Justice and Appeal, Sit-in Held at Jadavpur

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র চিকিৎসকরা তাঁদের নিরাপত্তা সহ ১০ দফা দাবিতে অনড় থেকে লাগাতার আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। এবার সেই পথে হাঁটল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে সেখানে শুরু হচ্ছে ধর্ণা কর্মসূচি। কারা সেখানে ধর্নায় বসছেন? কী কারণে সেখানে ধর্ণা কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা?

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ধর্ণা কর্মসূচির জন্য নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম গঠন করা হয়েছে, যাঁর নাম দেওয়া হয়েছে ‘জেইউ ফর জাস্টিস’। জানা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, স্কলার, গবেষক, অধ্যাপক, প্রাক্তনী এবং কর্মচারীরা আজকের এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হবেন। সেইসঙ্গে সাধারণ মানুষকেও এই প্রতিবাদে শামিল হওয়ার জন্য আহ্বান করা হয়েছে।

   

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেটের সামনে ধর্নায় বসবেন তাঁরা। ‘জেইউ ফর জাস্টিস’-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজকে তাঁরা যে দাবিগুলো নিয়ে ধর্নায় বসছেন সেই দাবিগুলো যত দিন না পূরণ হয়, ততদিন তাঁরা এই ধর্ণা চালিয়ে যাবেন। তাঁদের দাবিগুলো ঠিক কী কী? আরজি করে তরুণী চিকিৎসককের ধর্ষণ-খুনের ঘটনা, ২০২৩ সালে র‌্যাগিংকাণ্ডে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার বিচারের পাশাপাশি মোট সাত দফা দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ধর্ণায় বসবেন তাঁরা।

সাত দফা দাবিগুলো হল, প্রথমত, আরজি কর-কাণ্ডের বিচার এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা যে দাবি করেছেন সেটা পূরণ করা দরকার এবং যাদবপুর এর জন্য পাশে রয়েছে। দ্বিতীয়ত, র‌্যাগিংকাণ্ডে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি শেষ করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেইসঙ্গে কর্তৃপক্ষের কী ভূমিকা ছিল তার তদন্ত করে সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে।

তৃতীয়ত, ‘থ্রেট কালচার’ যাদবপুরের পাশাপাশি সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বর্জন করতে হবে। চতুর্থত, ‘অভয়া পরিক্রমা’র সময় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ছাত্রছাত্রীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। পঞ্চম দাবিটি হল, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠনের নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। ষষ্ঠ, অ্যাকাডেমিক এবং নন-অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রে কিছুদিন আগে যত পারিশ্রমিক বৃদ্ধি হয়েছে তা কমিয়ে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পারিশ্রমিকের কাঠামো আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে।

শেষ দাবিটি হল, যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে লিঙ্গ সংবেদনশীল কমিটি (জিএসসিএএসএইচ) গঠন করতে হবে। এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি (আইসিসি) পুনর্গঠন করে সেখানে যে অভিযোগগুলি রয়েছে সেগুলো খতিয়ে দেখতে হবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সংগঠনটি আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিগুলিকে সর্বসম্মতভাবে সমর্থন জানিয়েছে।