Russell’s Viper: ওঝা নয় চিকিৎসকের কাছে এলেন চন্দ্রবোড়া গলায় ঝোলানো ব্যক্তি, হাসপাতালে আতঙ্ক!

চিকিৎসকরা আতঙ্কিত। রোগীরা ভয়ে সিঁটিয়ে আছেন আর এক ব্যক্তির গলায় সাপ (Russell’s Viper),ঝুলিয়ে ঘুরে ঘুরে বলছেন ওষুধ দিন! তিনি কোনও ওঝার কাছে যাননি। এসেছেন হাসপাতালে।…

bihar Russell's Viper: ওঝা নয় চিকিৎসকের কাছে এলেন চন্দ্রবোড়া গলায় ঝোলানো ব্যক্তি, হাসপাতালে আতঙ্ক!

চিকিৎসকরা আতঙ্কিত। রোগীরা ভয়ে সিঁটিয়ে আছেন আর এক ব্যক্তির গলায় সাপ (Russell’s Viper),ঝুলিয়ে ঘুরে ঘুরে বলছেন ওষুধ দিন! তিনি কোনও ওঝার কাছে যাননি। এসেছেন হাসপাতালে।

ভাইরাল একটি ভিডিও। এতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি গলায় একটা বিরাট চন্দ্রবোড়া ঝুলিয়ে হাসপাতালে ঢুকেছেন। কিছু পরে তিনি অচৈতন্য হয়ে গেলেন।  এ ঘটনা বিহারের। জানা গেছে সাপ নিয়ে হাসপাতালে আসা ব্যক্তি ভাগলপুরের বাসিন্দা প্রকাশ মণ্ডল। তাকেই ছোবল মেরেছে ওই চন্দ্রবোড়া।

   

প্রকাশ মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তি তার বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। সাপটি তার হাতে কামড় দেয়। তিনি সাপটিকে ধরে ভাগলপুরের জওহরলাল নেহেরু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ক্রমশ তিনি অচৈতন্য হয়ে পড়েন। তবে সাপটিকে ছাড়েননি। বিভ্রান্ত, উদ্বিগ্ন এবং ভীত রোগী এবং ডাক্তাররা। কিছু পরে কোনোরকমে সাপটিকে ছাড়িয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা শুরু হয়।

সাপ গবেষকরা বলেছেন, চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ে তাৎক্ষণিক ক্ষতস্থানে ব্যথা শুরু হয় ও কিছুক্ষণের মধ্যে ক্ষতস্থান ফুলে যায়। রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দনের হার কমে যায়। প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রে বমি হয় ও মুখমণ্ডল ফুলে যায়। যথাযথ চিকিৎসা না নিলে ২৫-৩০ শতাংশ ক্ষেত্রে কিডনি অকার্যকর হয়ে যায়। চন্দ্রবোড়ার বিষে লোহিত রক্তকণিকা ধ্বংস হয় ও বিভিন্ন অঙ্গ যেমন- ফুসফুস, কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দ্রুত চিকিৎসা নিলে ও সত্বর অ্যান্টিভেনম প্রয়োগে বিষক্রিয়া সম্পর্কিত নানা শারীরিক জটিলতার হার বহুলাংশে কমানো যায়।

চন্দ্রবোড়া সাধারণত আক্রমণ করে না। বিরক্ত করলে প্রচণ্ড আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে। প্রতিবছর যত মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায় তার উল্লেখযোগ্য একটি অংশ এই চন্দ্রবোড়ার কামড়ে মারা যায়। তবে চন্দ্রবোড়া “মানুষকে তেড়ে এসে কামড়ায়” এ কথা গুজব।  এরা এক জায়গায় চুপ করে পড়ে থাকে। মানুষ বা বড় কোন প্রাণী সামনে এলে কুণ্ডলী পাকিয়ে খুব জোরে জোরে হিস্ হিস্ শব্দ করে। তারপরও তাকে বিরক্ত করা হলে তবেই অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছোবল মারতে পারে। ছোবল দেওয়ার সময় শরীরের সামনের দিকটা ছুঁড়ে দেয় বলে “তেড়ে এসে কামড়ায়” জাতীয় ভুল ধারণার জন্ম।