বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরের রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার হল এক তরুণীর দেহ। নিহত তরুণীকে অর্ধনগ্ন ও অর্ধদগ্ধ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। কোথা থেকে উদ্ধার হয়েছে এই তরুণীর দেহ? ঠিক কী হয়েছিল? কৃষ্ণনগরের (Krishnagar) রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমপাড়া এলাকায় পুলিশ সুপারের অফিসের কিছুটা দূরে আজ সকালে এক তরুণীর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
সেই দেহ দেখার পরেই বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় গোটা এলাকা জুড়ে। স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বুধবার সকাল ৭টার সময়ে প্রাতর্ভ্রমণকারীরা জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের ঠিক পিছন দিকে আশ্রমপাড়া বারোয়ারির উল্টো দিকে তরুণীর অর্ধদগ্ধ দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। অজ্ঞাতপরিচয় সেই তরুণীর দেহ পড়ে থাকতে দেখে উত্তেজনা ছড়াতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
এদিকে যত দ্রুত সম্ভব নিহত তরুণীর পরিচয় কী তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই পুলিশ দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এদিকে এই বিষয়ে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় মিত কুমার মাকোয়ান জানিয়েছেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছেছে। দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে তরুণীর বয়স ২০ থেকে ২২ বছর। তবে দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তরুণীর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।” আশ্রমপাড়া বারোয়ারির ঠিক উল্টো দিক থেকে উদ্ধার হওয়া তরুণীর দেহ দেখে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই নিহত তরুণীর মুখ দগ্ধ অবস্থায় ছিল। তাই তাঁকে তখন শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। শুধু তাই নয়, স্থানীয়দের আশঙ্কা ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়ে থাকতে পারে।
তবে এক্ষেত্রে স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ ধর্ষণ করে খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্যই দেহটিকে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়ে থাকতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই নিহত তরুণীর পরিচয় জানা গেছে। পরিবারের দাবি, গতকাল বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল দ্বাদশ শ্রেণীর ওই তরুণী। এরপর আজ সকালে অর্ধনগ্ন ও অর্ধদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হয় সেই তরুণীর দেহ।
তবে মৃত তরুণীর পরিবার এই ঘটনার পেছনে মেয়েটির প্রেমিক জড়িত বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। তবে পুলিশ ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।