কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে (Kanchenjunga Express) ঝুলছে এক ব্যক্তির দেহ। এ দৃশ্য দেখে অন্যান্য যাত্রীরা আতঙ্কিত। মৃত ব্যক্তি কি আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এই প্রশ্ন সামনে রেখে তদন্ত শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, শিয়ালদহ থেকে আগরতলাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ওই যাত্রীর দেহ মিলেছে কামরার একটি অংশে ঝুলন্ত অবস্থা। ট্রেনটি তখন ত্রিপুরার সাব্রুম স্টেশনে ছিল। আতঙ্কিত যাত্রীদের কাছে খবর পেয়ে দ্রুত রেল পুলিশ এসে মৃত ব্যক্তির দেহ কামরা থেকে সরায়।
মৃতের নাম অরুণ দেবনাথ। তার মোবাইল ফোন, কিছু নগদ, একটি আধার কার্ড, প্যান কার্ড এবং শিয়ালদহ থেকে ধর্মনগর যাওয়ার ট্রেনের টিকিট সহ বেশ কিছু ব্যক্তিগত জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়।
ত্রিপুরার বাসিন্দা অরুণ দেবনাথ বেঙ্গালুরুতে কাজ করতেন। ছয় মাস কাজ করার পর বাড়ি ফিরছিলেন। স্ত্রীর সাথে তার শেষ যোগাযোগ সোমবার। তার পর থেকে তার ফোন বন্ধ হয়ে যায়।
সাব্রুম থানার পুলিশ ও রেলপুলিশ জানিয়েছে, কাঞ্চনজঙ্ঘার কামরায় ঝুলন্ত “অরুণের নাক ও মুখ থেকে তাজা রক্ত বের হচ্ছিল বলে জানা গেছে। পুলিশ মনে করছে এই মৃত্যু রহস্যজনক। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।
প্রশ্ন উ়ঠছে, ট্রেনের টিকিট চেকার কোথায় ছিল? কীভাবে কেউ ঘন্টার পর ঘন্টা লাশ দেখেনি উঠছে এমন প্রশ্ন। ট্রেনে ভিড় ছিল।
প্রশ্ন উঠছে, ওই যাত্রীর টিকিট ছিল ত্রিপুরার ধর্মনগর পর্যন্ত। তার দেহ মিলেছে সাব্রুমে। দুটি স্টেশনের মধ্যে দূরত্ব দুশো কিলোমিটারের বেশি। মাঝে পড়ে একাধিক স্টেশন। এই অবস্থায় ঝুলন্ত দেহ কী করে এতটা পথ কারোর নজরে এড়িয়েছে সেটা নিয়েই প্রশ্ন।