Israel’s Iron Dome: ইজরায়েল চারদিক থেকে শত্রু দ্বারা পরিবেষ্টিত। শত্রুদের আক্রমণ এড়াতে ইজরায়েল আয়রন ডোম ডিফেন্স সিস্টেম (Iron Dome Defence System) স্থাপন করেছে। কিন্তু এখন বিপদ বেড়েছে! মনে করা হচ্ছে হিজবুল্লা হয়তো আয়রন ডোমকে ধ্বংস করার উপায় খুঁজে পেয়েছে। রবিবার ড্রোন হামলায় চারজনের মৃত্যুর পর এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আইডিএফ প্রধানরা প্রশ্ন তুলেছেন কেন তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হামলাটি সনাক্ত করতে পারেনি।
হিজবুল্লা বলেছে যে তারা ড্রোনের একটি ঝাঁক দিয়ে আইডিএফের গোলানি ব্রিগেডের একটি ঘাঁটি টার্গেট করেছে। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ইজরায়েল লেবাননে স্থল হামলা শুরু করার পর এটিই ছিল সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সবচেয়ে মারাত্মক হামলা। ইজরায়েলের একটি বিশ্বমানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, যা এখনও পর্যন্ত তার বেশিরভাগ অঞ্চলকে আক্রমণ থেকে রক্ষা করেছে। কেন আয়রন ডোম ব্যবস্থা নেয়নি তা জানার চেষ্টা করছেন ইজরায়েলি তদন্তকারীরা। এছাড়াও, বিমান হামলার সময় সাইরেন কেন সতর্কতা দেয়নি?
একটি ড্রোন কি আয়রন ডোমকে ফাঁকি দিতে পারে?
আয়রন ডোম রকেটগুলিকে থামিয়ে দেয় যা শহরাঞ্চলের দিকে যাচ্ছে। এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র বাতাসেই হুমকি ধ্বংস করে। কিন্তু এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে একসঙ্গে একাধিক হামলার কারণে ব্যবস্থায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। ধীর গতিতে উড়ন্ত ড্রোনের মাধ্যমে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দেওয়া যেতে পারে বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। যে ঘাঁটিতে হিজবুল্লা হামলা হয়েছিল সেখানে ইজরায়েলের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন।
দুটি ড্রোন উৎক্ষেপণ করা হয়েছে
ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন যে সরকার একটি সমাধান খুঁজে বের করার জন্য কাজ করছে। টাইমস অব ইজরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লা সমুদ্র থেকে দুটি ড্রোন ইজরায়েলের আকাশসীমায় উৎক্ষেপণ করেছে। ইজরায়েলের গবেষণা প্রতিষ্ঠান আলমা সেন্টার জানিয়েছে, ড্রোনটির পাল্লা ১২০ কিলোমিটার। একই সময়ে, এটি সর্বোচ্চ 370 কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিতে উড়তে পারে। এটি 40 কেজি বিস্ফোরক বহন করার ক্ষমতা রাখে। উত্তর হাইফা বন্দরের কাছে একটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু দ্বিতীয় ড্রোনটি কোনো সতর্কবার্তা ছাড়াই ঘাঁটিতে পড়ে যায়।
