নিজ্জর খুনে কূটনৈতিক সংঘাত, ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ‘সন্দেহভাজন’ বলল কানাডা

শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের (Khalistani Leader Nijjar) খুনের ঘটনায় নতুন মোড়। কানাডা সরকার ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ‘সন্দেহভাজন’ বলে ঘোষণা করল। নিজ্জর হত্যা মামলাতেই এই…

India-Canada Relations

শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের (Khalistani Leader Nijjar) খুনের ঘটনায় নতুন মোড়। কানাডা সরকার ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ‘সন্দেহভাজন’ বলে ঘোষণা করল। নিজ্জর হত্যা মামলাতেই এই পদক্ষেপ বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিবিসির খবর, কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মাসহ একাধিক ভারতীয় কূটনীতিবিদকে সে দেশের একটি তদন্তে ‘পার্সন অব ইন্টারেস্ট’ বা সন্দেহভাজন হিসেবে ঘোষণা করার পর দু’দেশের সম্পর্ক চরম অবনতির স্পষ্ট লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ভারতের তরফে কূটনীতিক ফেরানো হচ্ছে।

   

প্রসঙ্গত, কোনও ঘটনার তদন্তে ‘পার্সন অব ইন্টারেস্ট’ তাদেরই বলা হয় যাদের তদন্তকারীরা ওই ঘটনায় জড়িত বলে মনে করেন কিন্তু তখনও যাদের গ্রেফতার করা হয়নি।

কূটনীতিকদের ধারণা, কোন মামলার তদন্তে এই পদক্ষেপ, সেটা স্পষ্ট না করা হলেও ২০২৩ সালের জুন মালে কানাডার নাগরিক ও শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের ঘটনার সঙ্গেই এটি সংশ্লিষ্ট বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারত সরকার জানিয়েছে, রবিবার (১৩ অক্টোবর) একটি ‘ডিপ্লোম্যাটিক কমিউনিকেশন’ বা কূটনৈতিক বার্তার মাধ্যমে কানাডা সরকার এ কথা জানিয়েছে।এরপরই ভারতের বিদেশ মন্ত্রক সোমবার (১৪ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে কানাডার বক্তব্যকে অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করে বলেছে। ভারতের দাবি, এই পদক্ষেপ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ‘ভোটব্যাঙ্ক কেন্দ্রিক রাজনীতি’ ও ‘পলিটিক্যাল এজেন্ডা’র অংশ।

কানাডায় বিপুল সংখ্যায় শিখ ধর্মাবলম্বীদের বংশ পরম্পরায় বসবাস। তাদের সিংহভাগ কানাডীয় নাগরিক। গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তানপন্থী সংগঠন খুবই সক্রিয়। পাকিস্তান মদতপুষ্ট খালিস্তানি জঙ্গি নেতারা কানাডায় প্রকাশ্যেই ভারত বিরোধী কর্মকাণ্ড করে।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছিলেন, হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ‘ভারতীয় এজেন্ট’দের যুক্ত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। ভারত এই অভিযোগ অস্বীকার করে। নয়াদিল্লি দাবি করেে, কানাডা সরকার তাদের দাবির পক্ষে কোনও সাক্ষ্যপ্রমাণ দাখিল করেনি।

বিবিসি জানাচ্ছে,এবার কানাডা সরকারের পদক্ষেপে এটা স্পষ্ট, তারা সরাসরি ভারতীয় কূটনীতিকরা ওই ঘটনায় যুক্ত বলে মনে করছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত (চার্জ-দ্য-অ্যাফেয়ার)-কে পররাষ্ট্র সোমবার তলব করা হয়।