ভাতা নয় চাকরি চাই, এই দাবিতে উত্তাল বর্ধমান (Purba Bardhaman) শহর।লক্ষীর ভাঁড় আছড়ে ভেঙে প্রতিবাদে সরব হলেন চাকরী প্রার্থীরা। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির পরেও কেন নিয়োগ নয় তা নিয়েই তুমুল বিক্ষোভ।
পুরভোটের আগে পূর্ব বর্ধমান জেলায় শাসক টিএমসি এমনিতেই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে জেরবার। বিরোধী বিজেপি শিবিরেও একই অবস্থা। বামফ্রন্টের দাবি, পরিস্থিতি কীরকম তা বোঝাই যাচ্ছে। বিক্ষোভ চলছে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ২০১৪ সালে তাঁরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিল ধাপে ধাপে নিয়োগ করা হবে টেট উত্তীর্ণদের। কিন্তু, প ১২০০০ নিয়োগ করানোর পর পুরোপুরি নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। থমকেই রয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া।
বিক্ষোভকারীদের দাবি রাজ্য সরকার কর্মসংস্থান করুক। ভাতা দিয়ে কতদিন চলবে? শুধু বর্ধমান নয়, পুরভোটের আগে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ চরমে। নদিয়ায় টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা স্বেচ্ছায় মৃত্যুর আবেদন নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। বাঁকুড়াতে বিক্ষোভ চলেছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি লক্ষী ভাণ্ডার চাইনা, চাকরি চাই।
আর তা দিতে না পারলে স্বেচ্ছা মৃত্যুর অনুমতি দিন’ এই দাবি তুলে আন্দোলনে নামলেন টেট উর্ত্তীর্ণরা।
তাই, এবার সপরিবারে স্বেচ্ছায় মৃত্যু আবেদন নিয়ে জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ ‘মা ফলেষু কদাচন’ ফের টুইটে মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা রাজ্যপালের
চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, লাখ লাখ টাকা খরচ করে তাঁরা পড়াশোনা করেছে। যদি বেকার অবস্থায় তাঁদের নিয়োগ না করা হয় তাহলে না খেতে পেয়ে পরিবার নিয়ে মরবে। এই পরিস্থিতিতে সরকার অবিলম্বে তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিক না হলে স্বেচ্ছায় মৃত্যুর অনুমতি দিক।
অন্যদিকে শুক্রবার ২০১৪ সালে টেট পাশ ট্রেণ্ড নট ইনক্লুডেড একতা মঞ্চে’র তরফে বাঁকুড়া শহরের তামলিবাঁধে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান। লক্ষীর ভাণ্ডারের চাপে ২০১৪ প্রাইমারি টেট পাশ নট ইনক্লুডেড ক্যান্ডিডেটহসরা আজ মৃত, ‘উই ওয়ান্ট এপয়েন্টম্যান্ট’ ও ‘দিদি কথা রাখুন’ লেখা প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন নিয়ে পথ অবরোধেও সামিল হন তাঁরা।