ষষ্ঠীর পর সপ্তমী, ফের ‘অভয়া পরিক্রমায়’ বাধা পুলিশের

RG Kar Protest: ধুন্ধুমার পরিস্থিতি ধর্মতলায়। জুনিয়র ডাক্তারদের ‘অভয়া পরিক্রমায়’ বাধা পুলিশের। পুলিশের গার্ডরেল সরিয়ে সোজা এগিয়ে যান সাধারণ মানুষ। পুলিশের গার্ডরেল রীতিমত সরিয়ে দেন…

Junior doctors' 'mass rally' application rejected by police.

RG Kar Protest: ধুন্ধুমার পরিস্থিতি ধর্মতলায়। জুনিয়র ডাক্তারদের ‘অভয়া পরিক্রমায়’ বাধা পুলিশের। পুলিশের গার্ডরেল সরিয়ে সোজা এগিয়ে যান সাধারণ মানুষ। পুলিশের গার্ডরেল রীতিমত সরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। আজ উত্তর কলকাতায় যাওয়ার কর্মসূচি ছিল। ষষ্ঠীর পর সপ্তমী, ফের ‘অভয়া পরিক্রমায় রুখল পুলিশ। ধুন্ধুমার পরিস্থিতির মাঝেই চলছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস।’

আজ সপ্তমী। একদিকে যেমন চলছে আরজি কর খুন-ধর্ষনের ঘটনার বিচার চেয়ে প্রতিবাদ, তেমনই রাজ্যজুড়ে চলছে পুজো। তার ই মাঝে, পুজোর সময় মিছিল করলে অসুবিধা হতে পারে বলেই গার্ডরেল দিয়ে রাখে পুলিশ বলে জানা গিয়েছে। তবে গার্ডরেল সরিয়ে এগিয়ে যায় মিছিল। মিছিল এগিয়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ পেরিয়ে কলেজ স্কোয়ারের পুজোর দিকে এগিয়ে যায়। পুলিশের তরফে মাইকিং করে জানায় পুজোর সময় জমায়েত করা যাবেনা। তবে আন্দোলনকারীরা বাধা পেরিয়ে এগিয়ে চলেন। ষষ্ঠীর পর সপ্তমীতে ফের পুলিশি বাধার মুখে পড়ল ‘অভয়া পরিক্রমা।’ গতকালের এই পরিক্রমা চলাকালীন ত্রিধারা সম্মিলনীতে স্লোগান তোলার পর ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। আজ তাদের আদালতে পেশ করা হয়।

   

ধর্মতলার পর চাঁদনী চৌক মেট্রো স্টেশনের সামনে দ্বিতীয় ব্যারিকেডকে ঠেলে মিছিল করছেন সাধারণ মানুষ। 

তিলোত্তমার বিচার চেয়ে প্রায় সাড়ে ৩ দিন ধরে ধর্মতলায় আমরণ অনশন করছেন জুনিয়ার চিকিৎসকেরা। পাশে রয়েছেন সিনিয়ার ডাক্তাররাও। এর মধ্যে পঞ্চমীর দিন ‘মহামিছিল’-এর ঘোষণা করেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা। এরপর মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টের সময় কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ পর্যন্ত মিছিল হবে বলে জানানো হয়েছিল চিকিৎসকদের তরফ থেকে। কিন্তু সেই মিছিল করার অনুমতি দেয় নি কলকাতা পুলিশ। এরপর গতকাল ‘অভয়া’ পরিক্রমাতেও বাধা দেয় পুলিশ। তাঁদের এই মিছিল রুখতে দুটি বাস ও একটি তেলের ট্যাঙ্কার সেই মিছিলের সামনে রেখে দেওয়া হয় যাতে করে সেই মিছিল না যেতে পারে।

বুধবার অর্থাৎ ষষ্ঠীর বিকেলে এমনই ছবি দেখা যায় সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে। ঘটনার জেরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা কার্যত পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন পথচলতি মানুষ।