এএফসি ইস্যুতে পাল তোলা নৌকার পাশে ভারতের প্রাক্তনীরা

গত ২ অক্টোবর ট্র্যাক্টর এফসি-র (ACL Two) বিরুদ্ধে ইরানের তাব্রিজে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর ম্যাচে খেলতে নামার কথা ছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টদের (Mohun Bagan SG)।…

AFC Mohunbagan SG এএফসি ইস্যুতে পাল তোলা নৌকার পাশে ভারতের প্রাক্তনীরা

গত ২ অক্টোবর ট্র্যাক্টর এফসি-র (ACL Two) বিরুদ্ধে ইরানের তাব্রিজে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর ম্যাচে খেলতে নামার কথা ছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টদের (Mohun Bagan SG)। খেলতে যায়নি বাগান শিবিরের খেলোয়াড়রা। ইরানে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ফুটবলাদের নিরাপত্তাই মূল কারণ হিসেবে দেখিয়েছিল সবুজ-মেরুন শিবির। পরবর্তীতে এএফসি-র তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়,এসিএল টু থেকে মোহনবাগান সরে দাঁড়িয়েছে। ফলে বাগান শিবিরের খেলা ম্যাচ বাতিল হিসাবে ধরা হবে। এবার এই ইস্যুতে মোহনবাগানের পাশে দাঁড়াল ভারতের প্রাক্তন ফুটবলারদের এক সংস্থা।

আরও পড়ুন : IFA শুধু ইস্টবেঙ্গলের অভিভাবক? খোঁচা কুণাল ঘোষের

   

ট্র্যাক্টর এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে মোহনবাগানের কোচ এবং ফুটবলার উপস্থিত না থাকায়, এএফসি-র তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-তে (ACL Two) ট্র্যাক্টর এসসির বিরুদ্ধে খেলতে ইচ্ছাকৃত ভাবে ইরান যায়নি মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan SG)। বিষয়টি এএফসি-র সংশ্লিষ্ট কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল পর্যালোচনার জন্য। সোমবার এফসির তরফে জানানো হয়,অনুচ্ছেদ ৫.২ লঙ্ঘন করেছে মোহনবাগান। আর সেই মতো ধরে নেওয়া হয়েছে মোহনবাগান এসিএল টু-এর থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করেছে। তাই এসিএল টুতে বাগান শিবিরের খেলা ম্যাচ বাতিল হিসাবে ধরা হবে।

আরও পড়ুন : আইএফএ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ মহামেডানের, পাশে দাঁড়িয়ে নজির বিহীন সিদ্ধান্ত বাগানের

এসিএল টু (ACL Two) খেলার জন্য যে ফুটবলারদের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছিল, তাঁরা প্রত্যেকেই ক্লাবকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা ইরান যেতে রাজি নন। মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টের তরফে সেই চিঠি পাঠনো হয়েছিল এএফসিকে। সেই মুহূর্তে সফর বাতিল করা হয়। মাঠে হাজির না থাকার কারণে নিয়ম অনুযায়ী ট্র্যাক্টর এফসিকে ৩ পয়েন্ট দিয়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন : নতুন কোচের হাত ধরে ইস্টবেঙ্গলে রবিনহো !

এই বিষয়ে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের পাশে দাঁড়াল পিএফএ ইন্ডিয়া (PFA India) তথা ভারতের প্রাক্তন ফুটবলারদের এক সংস্থা। এর তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ইরানে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি বজায় থাকায় ফুটবলারদের সেখানে গিয়ে না খেলার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাচ্ছি আমরা। এএফসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলা হয় ফুটবলারদের সুরক্ষার বিষয়ে কেন গুরুত্ব দেওয়া হল না।

প্রসঙ্গত এএফসি-র এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন বাগান সচিব দেবাশীষ দত্ত। এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ” আমরা সম্পূর্ণ বিষয়টা জানার পর লিগাল সেলকে পাঠিয়েছি। তারা বিষয়টা দেখছে, পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে সে বিষয়ে পর্যালোচনা করছে। তবে আমাদের কাছে প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য ছিল খেলোয়াড়দের সুরক্ষা। যে দেশে যুদ্ধ হচ্ছে সেদেশে সবাই জানে সুরক্ষার কোন বিষয় নেই। তাই সেখানে টিম পাঠানোর কোন প্রশ্নই আসেনি। সেটাই আমরা এএফসিকে জানিয়েছিলাম।”