এবছর আই এস এলের শুরুটা একবারেই ভালো হয়নি তাঁদের। পরস্পর চারটে ম্যাচ হেরে লিগ টেবিলে এখনও পর্যন্ত পয়েন্ট অধরাই রয়ে গেছে লাল হলুদ শিবিরের। তবে ক্ষণিক মুষড়ে পড়লেও ফুটবলের রণাঙ্গনে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) লড়াই করতে শিখিয়েছে বারবার। তাই আজ মহাচতুর্থীর সন্ধ্যায় জোড়া চমক নিয়ে সমর্থকদের ‘ উৎসব’ উপহার দিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তারা। আজ সন্ধ্যায় কুয়াদ্রাতের পর প্রধান কোচ হিসেবে অস্কার ব্রুজোকে নতুন কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয় লাল-হলুদ শিবিরের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে বর্তমানে চোটের কবলে পড়া হীরা মন্ডলের (Hira Mondal) বিকল্প হিসেবে দুই তরুণ তারকা কার্তিক হাঁসদা এবং প্রদীপ মিশ্রকে দলে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব।
চোটসমস্যা বরাবর ভুগিয়ে এসেছে ইস্টবেঙ্গল শিবিরকে।না খেলোয়াড়দের চোটের কারণেই এবছর আইএসএলের শুরু থেকে পরাজিত হয়ে এসেছে মশালবাহিনী। বিশেষত দলের প্রধান ফুটবলার দিমিত্রিয়স দিয়ামন্ত্রাকস, মহম্মদ রাকিব এবং হীরা মন্ডল চোটের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনিশ্চিত হয়ে গেছেন। এমনকি জামশেদপুর ম্যাচে খেলতে নামার আগে অনুশীলন ম্যাচেও উপস্থিত ছিলেন না এই তিন তারকা। এছাড়াও অনুশীলনের দিন দলের ফিজিওর সাথে বেশি সময় কাটান হীরা। তাই তাঁকে নিয়ে বিশেভাবে নজর প্রদান করছেন ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তারা। তাই চোট পাওয়া হীরা মন্ডলের বদলে কার্তিক হাঁসদা এবং প্রদীপ মিশ্রকে হয়ত আগামী ডার্বির আগে দলে খেলতে দেখা যেতে পারে।
প্রথম থেকেই ইস্টবেঙ্গলের জুনিয়র দলে খেলেন কার্তিক হাঁসদা এবং প্রদীপ মিশ্র। এবছর কলকাতা ফুটবল লিগেও খেলতে দেখা গেছে প্রদীপ – কার্তিকদের। তবে এবার আর জুনিয়র লিগ নয় , প্রধান দলেই শিকে ছিঁড়তে পারে এই দুই ফুটবলারের। এই মর্মে দুই ফুটবলারের দুবছরের চুক্তিও বৃদ্ধি করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য বিষয় হল যে জুনিয়র দল থেকেই সিনিয়র দলে উঠে এসেছিলেন হীরা মণ্ডল । হাওড়ার বাসিন্দা কার্তিক হাঁসদা খেলেন প্রধানত ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে।
এছাড়াও দলের প্রয়োজনে একজন ডিফেন্ডারের ভূমিকাও পালন করতে পারেন তিনি। অন্যদিকে কলকাতার বাসিন্দা প্রদীপ মিশ্র একজন মিডফিল্ডার। তাই আখেরে হীরা মন্ডলের জায়গায় এই দুজন ফুটবলারকে দলে নিলে বেশ লাভবান হবে মশালবাহিনী। অবশ্য পুরোটাই নির্ভর কাছে সদ্য নিযুক্ত কোচ অস্কার ব্রুজোর ‘ রীতিনীতি’ মন্তব্যর ওপর।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে বিগত শনিবার (৫ই অক্টোবর) অ্যাওয়ে ম্যাচে পরাস্ত হয় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচ শুরুর আগে দল সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা দিয়েও শেষমেশ নিরাশ করেন লাল -হলুদ শিবিরের অন্তর্বর্তী কোচ বিনো জর্জ। তবে একশো বছরে ইতিহাসে ইস্টবেঙ্গল যত হেরেছে, ভেঙে পড়েছে ঠিক ততবারই ফিনিক্সের মতো উঠে দাঁড়িয়েছে আবার। তাই আসন্ন ডার্বির আগে নতুন কোচ অস্কার ব্রুজো ঝিমিয়ে পড়া এই দলকে কতটা উজ্জীবিত করতে পারেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।